দাম্পত্যে ভাঙন এড়াতে চাইলে

দাম্পত্যে ভাঙন এড়াতে চাইলে

বনিবনা না হলে দম্পতিরা মনে করেন একসঙ্গে থাকার চাইতে আলাদা থাকাই ভালোএকসময় এটা ডিভোর্সে গড়ায় তবে, অনেক সময় দাম্পত্য সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা অবস্থায় যদি তা সমাধান করা যায় তাহলে সম্পর্কে ভাঙন থেকে অনেকেই রেহাই পেতে পারেনগবেষণা বলছে, দম্পতিদের মধ্যে এমন কিছু বদভ্যাস থাকে যা এড়িয়ে চললে অনেকে ক্ষেত্রে ভাঙন এড়ানো সম্ভব

যখনই সম্পর্কে কোন ধরনের সংকট দেখা দেবে তখনই সমস্যার মুল কোথায় তা নির্ণয় করতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ দম্পতিই সমস্যা নির্ণয় না করে ঝগড়া শুরু করেন। যতক্ষণ না সমস্যাটা বাড়তে বাড়তে বড় আকার ধারন করে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এটা নিয়ে কোনো আলোচনা করেন না। বরং ঝগড়াঝাটিতেই ব্যস্ত থাকেন। যখন বুঝতে পারেন তখন অনেক দেরী হয়ে যায়

অনেক দম্পতি আবার পুরনো বিষয়কে টেনে ঝগড়া শুরু করেন।এটা যেকোনো মূল্যে এড়াতে হবে। যখনই সঙ্গী ঝগড়ার সময় পুরনো বিষয়বস্তু টেনে আনেন তখন এটা আরেকজনের কাছে শুধু বিরক্তি তৈরি করে না , বরং প্রচণ্ড রাগ তৈরি করে। যদি কেউ দাম্পত্যের অতীত সমস্যা ভুলতে না পারে তাহলে কীভাবে বর্তমান ভবিষ্যত কাটাবে?

স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হলে আপনার সমস্যা বুঝতে পারবে এমন কোনো পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুকে ডেকে আনুন। মন খুলে কান্নাকাটি করুন। তাহলে হালকা লাগবে। কখনও কখনও একজন সঙ্গী আরেকজনের ব্যাপারে অনেক কটু কথা বলেন। এইসব কটু কথাই এমন ধারালো যে একটা সম্পর্ক ভেঙ্গে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

অনেকসময় একজন সঙ্গী তার সাবেক প্রেমিক অথবা প্রেমিকার সঙ্গে বর্তমান সঙ্গীর তুলনা করেন। এই ধরনের অভ্যাস দাম্পত্য জীবন নষ্ট করে দেয়।

বিয়ের পর অনেক সময় সঙ্গী বিশেষ করে পুরুষরা অভিভাবকের মতো আচরণ শুরু করে দেন। কেউ কেউ সঙ্গীর ফোন বা ইমেইলও পরীক্ষা করেন। কিন্তু এটা মনে রাখা প্রয়োজন, প্রত্যেকের জীবনেই কিছু কিছু গোপনীয়তা থাকা প্রয়োজন। সঙ্গীর এমন আচরণ আরেকজনের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি করে,সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে ধরনের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে

 

সূত্রঃ দৈনিক সমকাল

ছবিঃ সংগৃহীত