নীল চায়ের জাদুকরী গুন
গ্রীন টি এবং ব্ল্যাক টি এখন বেশ কমন, কিন্তু নীল চা খেয়েছেন কখনো? এই চা শুধু স্বাদেই দারুন নয় এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুন ও।
নীল চায়ের স্বাস্থ্যগুনের তালিকাতে চোখ বুলিয়ে নিন একবারঃ
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-
নীল চায়ে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বার্ধক্য রোধে কাজ করে।এছাড়া শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য বের করে দিতেও এটি সাহায্য করে।
২. ব্লাড প্রেশার কমায়-
নীল চা শরীরের ব্লাড প্রেশার কমাতে সহায়তা করে। ব্লাড প্রেশার কমলে আপনার হার্ট ও সুরক্ষিত থাকে।তাই হার্ট যদি ভাল থাকে আপনার অন্যান্য অর্গানের কাজও ঠিকমতো হয়।
৩. অ্যাজমা কমায়-
কেউ কেউ মনে করেন নীল চা অ্যাজমা কমাতে সাহায্য করে। এতে আছে অ্যান্টি অ্যাজমা উপাদান, যার কারনে অনেকেই এই চা সাধারন সর্দি-কাশি, কফ এবং অ্যাজমা কমাতে ব্যবহার করেন।
৪. ডিপ্রেশন কমায়-
নীল চা ডিপ্রেশন এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এই চা এ থাকা অ্যাডাপটোজেনিক উপাদান শরীরের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা আপনার হতাশা ও উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করবে।
৫. ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়-
নীল চায়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের কোষ ড্যামেজ হতে বাধা দেয়, এর ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে যায়।
৬. ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে-
এক কাপ নীল চায়ে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেশ কাজে দেয়।এছাড়া এই চায়ে আছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস যা ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে, ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
৭. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করে-
নীল চায়ে থাকা প্রোয়ানথোসায়ানিডিন চোখের ক্যাপিলারিজে ব্লাড ফ্লো বাড়ায় যা চোখে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করে।
৮. মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়-
নীল চা মনোযোগের ক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং অ্যালঝেইমার (মস্তিস্কের ভুলের যাওয়ার রোগ) প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৯. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে-
নীল চায়ে আছে অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান যা শরীরের বাড়তি গ্লুকোজ কমিয়ে দেয় যার ফলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়।
ছবিঃ সংগৃহীত