কনের মেহেদির নজরকাড়া নকশা

কনের মেহেদির নজরকাড়া নকশা

বিয়েতে সাজসজ্জা, পোশাক আর নানান অনুষঙ্গের সঙ্গে কনের মেহেদি এখন নজরকাড়া হয়। এ জন্য প্রস্তুতিটা আগে থেকেই নিয়ে রাখা ভালো।

 

মেহেজাবিন মেহেদি হাউসের স্বত্বাধিকারী খন্দকার প্রিয়াঙ্কা খান এবং ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জের রূপবিশেষজ্ঞ বাপন রহমান জানালেন বিয়ের মেহেদি নিয়ে কিছু কথা।

 

এই সময়ের কনেরা কনুইয়ের ওপরেও মেহেদি দেওয়া পছন্দ করছেন। কনুই ও কবজির মাঝবরাবর পর্যন্ত মেহেদি দেন অনেকে। মেহেদির নকশার ক্ষেত্রে ফ্লোরাল বেজ করে বিভিন্ন রকম ফুল যেমন গোলাপ, টিউলিপ, লোটাসের নকশা করা হয়।

 

 

আগে থেকে নিজেদের ছবি দিয়ে দিলে বর-কনের পোর্ট্রেটও করা সম্ভব মেহেদি দিয়ে। সাধারণত হাতের তালুর মধ্যে পোর্ট্রেটগুলো করা হয়ে থাকে। একইভাবে রাজা-রানির মেহেদির নকশাও রয়েছে কনেদের পছন্দের তালিকায়। এ ছাড়া মূলত ফুলের নকশায় প্রাধান্য দিয়েই চারপাশে চিকন লাইন বা নানান ধরনের নকশা করা হয়। অনেকেই আবার তাঁদের বিয়ের পোশাক, কার্ডের ডিজাইনের সঙ্গে মিল রেখে বা বিভিন্ন থিম ধরেও মেহেদি দিতে চান।

 

কনের হাতের মেহেদিতে বিয়ের আমেজ। মডেল: আনুশকা, কৃতজ্ঞতা: ক্লিওপেট্রা বিউটি স্যালন, ছবি: সুমন ইউসুফ

কনের হাতের মেহেদিতে বিয়ের আমেজ। মডেল: আনুশকা, কৃতজ্ঞতা: ক্লিওপেট্রা বিউটি স্যালন, ছবি: সুমন ইউসুফ

 

সেমি ব্রাইডাল (কবজি আর কনুইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত) হাতের এপিঠ-ওপিঠ মিলে ২০০০ টাকা লাগবে। কনুই পর্যন্ত ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা (সব ধরনের ডিজাইনের জন্য হাতের এপিঠ-ওপিঠ মিলে)। এ ছাড়া কনুই থেকে মেহেদির নকশা ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে খরচও বাড়বে। সবকিছু বিবেচনা করে হাতের মেহেদি নকশায় ২০০০-৬০০০ টাকার মতো খরচ হবে।

 

 

এখন কনের মেহেদি নকশা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মিসরীয় ধাঁচের আদলে করা হয়ে থাকে। পুরো হাত ভর্তি করে মেহেদি দিয়ে তাতে কিছুটা গ্লিটারও দিচ্ছেন কেউ কেউ।

 

এ ছাড়া মেহেদি নকশার মধ্যে যে ফাঁকা জায়গাগুলো থাকে, সেখানে কনের পোশাকের রঙের সঙ্গে মিল রেখে অ্যাক্রিলিক রং দিয়ে আলপনা করা হয়। সে ক্ষেত্রে অ্যাক্রিলিক রঙের গাঢ় ভাব কমিয়ে হালকা করার জন্য এর সঙ্গে কিছুটা অক্সিল ব্যবহার করলে ভালো। আরবের মেহেদি নকশার বেশ চাহিদা রয়েছে কনেদের মধ্যে। আরবের মেহেদি নকশায় কলকি প্রাধান্য পায় বেশি। হাতের ওপর দিকটা বেশ ভারী ডিজাইনের চল চলছে এখন।

 

 

 মনে রাখা ভালো -

*  বিয়ের আগের দিন হাতে মেহেদি পরা ভালো। এতে রংটি গাঢ় থাকবে।

*  মেহেদি পরানোর আগে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে।

*  মেহেদি দেওয়ার সময় হাতে কোনো রকম ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার যেন না থাকে। নয়তো হাতে মেহেদি বসবে না।

*  শীতকালে মেহেদি শুকিয়ে এলে হাতে লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে দিতে হবে। এতে মেহেদি হাতে বসবে।

*  মেহেদি তুলে ফেলার পর সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে হাত ঘষে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন হাতে একটুও মেহেদি না লেগে থাকে।

* মেহেদি তুলে ফেলার পর থেকে ১০-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি বা সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। 

 

 

 

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো