হাতে থাকুক রেশমি চুড়ি
যে কোনো সাজের সঙ্গে খুব সহজে মানিয়ে যায় কাচের চুড়ি। গ্রামে কিংবা শহরে, চুড়ি পরে নিজেকে সাজাতে পছন্দ করেন সবাই। উৎসবের মাত্রাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় এই রেশমি চুড়ি।
কেউ কেউ এই রেশমি চুড়ি একহাত ভরেই পরে থাকেন। কেউ পরেন দুই হাত ভরে। আবার কেউ কেউ পরে থাকেন কিছুটা আলাদাভাবে। কয়েকটি ভিন্ন রঙের চুড়ি একটির পর আরেকটি সাজিয়ে পরেন। চুড়ি পড়ার এই ভিন্নতা সম্পূর্ণই নির্ভর করে আপনার পোশাকের রং ও রুচির ওপর। নানা রঙের রেশমি চুড়ি মনের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। রেশমি চুড়ি যে কেবল শাড়ির সঙ্গেই মানানসই, তা কিন্তু নয়। সালোয়ার-কামিজসহ যে কোনো পোশাকের সঙ্গেই খুব সহজে মানিয়ে যায় এই রেশমি চুড়ি।
রেশমি চুড়ি সাধারণত দুই ধরনের হয়। সাধারণ মসৃণ ও খাঁজকাটা কাচের চুড়ি। মসৃণ চুড়ির মধ্যে আবার দুই ধরনের চুড়ি রয়েছে। এর একটি স্বচ্ছ (ট্রান্সপারেন্ট), চুড়ির এক পাশ থেকে অন্য পাশ দেখা যায়। অন্যটি গাঢ় রঙের হয়। এক রঙের চুড়ি ছাড়াও একই চুড়ির মধ্যে বিভিন্ন রংও (মাল্টিকালার) পাবেন। তবে এ চুড়ির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো লাল, সবুজ, সাদা, হলুদ থেকে শুরু করে প্রায় সব রঙেরই পাবেন। কিছু চুড়ি মাল্টিকালারের হয়। একটি চুড়িতে দুই তিন রঙের মিশেল থাকে। কোনো কোনো চুড়িতে জরির কাজও থাকে। তবে সাধারণভাবে রেশমি চুড়ি বলতে প্লেন কাচের চুড়িকেই বোঝায়।
বছরজুড়েই রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের ফুটপাত থেকে চুড়ি কিনতে পারবেন। ঢাকার চকবাজারে এ চুড়ির সবচেয়ে বড় বাজার। এমন কোনো চুড়ি নেই যা এখানে পাওয়া যায় না। এখানে সাধারণত পাইকারি ও খুচরা বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে, গাউছিয়া মার্কেট ও এর আশপাশের ফুটপাত, চাঁদনীচক, নিউমার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, মৌচাকের বিপণিবিতানগুলোতে রেশমি চুড়ি কিনতে পাবেন। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লাতেও ফেরিওয়ালারা এ চুড়ি ফেরি করে বিক্রি করেন। রাজধানীর বাইরে জেলা-উপজেলা কিংবা গ্রামের বাজারেও আছে এ চুড়ি।
একেবারে হাতের নাগালে বলতে যা বোঝায় রেশমি চুড়ির দাম তা-ই। জায়গা ভেদে খানিকটা এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে প্রতি ডজন চুড়ির দাম ২৫ থেকে ৪০ টাকার বেশি নয়। সাধারণ রেশমি চুড়ি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাবেন। আর বহুরঙা চুড়ির দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকার মতো পড়বে।
খুব সহজে ভেঙে যায় এই চুড়ি। কোথাও আঘাত লাগলে, কিংবা পরা ও খোলার সময় দু-একটি চুড়ি তো ভাঙতে দিতেই হবে। কিন্তু তারপরেও ক্ষণস্থায়ী এই গহনার প্রতি মেয়েদের মোহ কম নয়। তবে হাতে পরা আর খোলার সময় ভাঙলেও এই চুড়ির সঠিক যত্ন নিলে অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। যখনই খুলে রাখবেন, অবশ্যই চুড়িগুলো একটির পর আরেকটি সাজিয়ে কাগজে মুড়ে নিন। এবার কোনো প্যাকেটে পুরে নিরাপদ স্থানে রাখেন যেখানে সচারচার অন্য জিনিসের আঘাত না পড়ে। চুড়ির আলনাতেও সাজিয়ে রাখতে পারেন এসব চুড়ি। কারও কারও তো শখের চুড়ি রাখার আলাদা বাক্স আছে। চুড়ির বাক্সে রাখলে আপনি একদম নিরাপদ।
সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন
ছবিঃ সংগৃহীত