সুস্থতায় সঠিক ভাবে গ্রহন করুন ৫ ভিটামিন
আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে আমরা সবাই ব্যস্ত। নিয়মিত ব্যায়াম তো দূরের কথা, এ যুগে আমরা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়াও করি না। এর ফলে সংগত কারণেই শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে সুস্থতায় দরকার ভিটামিন। আর শরীরের এই ঘাটতি পূরণে আমরা মুঠো মুঠো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করি। অনেক সময় ডাক্তাররাও বিভিন্ন ধরণের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন কী, নিয়মিত এসব সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়।
লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘প্রিভেনশন ডট কম’ অবলম্বনে জেনে নিন অতিরিক্ত ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে শরীরের কী কী ক্ষতি হয়...
ক্যালসিয়াম-
হাড়কে শক্তিশালী ও মজবুত করতে ক্যালসিয়ামের জুড়ি মেলা ভার। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাড়ের সুরক্ষায় ক্যালসিয়াম যতটা উপকার করে বলে আমরা মনে করি আসলে তা নয়। এটি বরং নরম টিস্যু এবং ধমনীকে আরও বেশি সংকুচিত করে ফেলে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবার অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম সেবন কিডনির পাথরকেও সংক্রামিত করতে পারে। কাজেই সুস্থতায় ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নয়, বরং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি, স্যামন, সার্ডিনস, সাদা মটরশুঁটি, বাদাম এবং ব্রোকলি প্রভৃতি খান।
ভিটামিন ই-
ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট অধিক মাত্রায় গ্রহণ করলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ, আলঝেইমার, ছানি প্রভৃতি রোগ হতে পারে। এ ছাড়া ভিটামিন ই কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতেও ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সাপ্লিমেন্টের মাত্রা অধিক হলেই হৃদরোগের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বাড়তে পারে ক্যান্সারের সম্ভাবনা। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দৈনিক ৪০০ আইইউ ভিটামিন ই গ্রহণ করেন তারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট সেবনে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আয়োডিন-
শরীরের সুস্থতায় ডাক্তাররাও আয়োডিন গ্রহণের সুপারিশ করে থাকেন। কিন্তু অতিরিক্ত আয়োডিন গ্রহণে থাইরয়েডের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এটি গ্রহণের আগে প্রসাবে আয়োডিনের মাত্রা ঠিক আছে কিনা তা আগে পরীক্ষা করে নিন।
আয়রন-
এই খনিজ রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে, যা শরীরের ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সারা শরীরে সরবরাহ করে। এ ছাড়া শরীরের কিছু স্বাভাবিক কাজ এবং কিছু হরমোন সংশ্লেষণের জন্য লোহা প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত আয়রন সেবনে আপনার যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একইসঙ্গে অগ্ন্যাশয় এবং হার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি জন্যও দায়ী এই অতিরিক্ত আয়রন।
ভিটামিন বি-৬-
দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে ভিটামিন বি-৬। সেই সঙ্গে জোগায় এনার্জি। একইসঙ্গে ত্বক, স্মৃতিশক্তি, গর্ভাবস্থায়ও ভালো রাখে এই ভিটামিন। ফলমূল, সবজি, মাছ প্রভৃতি থেকে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই ভিটামিন সেবনেও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ভিটামিন বি-৬ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে স্নায়ু রোগের সম্ভাবনা বাড়ে।
Source-The Daily Amadershomoy
Image- collected