ঝকঝকে রাখুন বেসিন
অন্দরসাজের অতিপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হলো বেসিন। বাথরুম, রান্নাঘর বা খাবারঘর প্রতিটি জায়গায়ই রয়েছে বেসিনের ব্যবহার। হাত-মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে রান্নার সব কাজে বেসিন ব্যবহার করা হয়। তাই এর যত্ন ও পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া জরুরি। কেননা, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্য। সপ্তাহে নিয়ম করে দুই দিন বেসিন পরিষ্কার করতে হবে।
সিরামিক, স্টিল, কাচ এমন নানা উপাদানে তৈরি হয় বেসিন। ভিন্ন ভিন্ন উপাদানে তৈরি বেসিনের যত্নটাও আলাদা।
নানা উপাদানে তৈরি বেসিনের যত্ন-
• পোর্সেলিনের ওয়াশ বেসিনটির চকচকে ভাব ধরে রাখতে এক চামচ বেকিং সোডা, লেবুর রস আর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা বাসন ধোয়ার তরল সাবান মিশিয়ে মিশ্রণটি বেসিনে ছড়িয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার দেখুন চকচকে পোর্সেলিনের জৌলুশ।
• স্বচ্ছ কাচের বেসিন পরিষ্কারের জন্য গুঁড়া বা তরল সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। স্বচ্ছ কাচের অযাচিত দাগ দূর করতে ভিনেগার এবং পানির মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। তবে পরিষ্কারের পর অবশ্যই শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। বেসিনের সঙ্গে সঙ্গে সোপকেস, মিরর স্ট্যান্ড, মিরর, বিব কল (হাতের চাপ দিয়ে যে কল খোলা হয়) ইত্যাদির যত্ন নিতে হবে।
• সিরামিকের বেসিনে অ্যাসিড বা কড়া সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, অ্যাসিড ব্যবহারে দাগ হয়ে যাওয়ার বেশ সম্ভাবনা থাকে। লিকুইড বা গুঁড়া সাবান দিয়ে পরিষ্কার করার পর বেসিন শুকিয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখুন যেন পরিষ্কারকারক কিছু লেগে না থাকে।
• সিংকের ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি অতিপরিচিত সমস্যা। এ ক্ষেত্রে ড্রেনের মুখে নেট ব্যবহার করলে খুব দ্রুত ময়লা পরিষ্কার করা যায়। আর সিংক পরিষ্কার রাখতে লিকুইড সাবান অথবা গুঁড়ো সাবান নিয়ে স্ক্রাবারের সাহায্যে তেল চিটচিটে এবং দাগযুক্ত জায়গা ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করুন। স্যাভলন অথবা ডেটল দিয়ে চারপাশ মুছে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
• বেসিনে ন্যাপথলিন ব্যবহার করাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে সহজেই দুর্গন্ধ এড়ানো যায়।
• দিন শেষে বেসিনের মধ্যে গরম পানি ঢেলে দিলে পাইপের মধ্যে থাকা জীবাণু ধ্বংস হয়। তবে গরম পানি ঢালার সময় কল ছেড়ে রাখতে হবে। নয়তো প্লাস্টিকের পাইপ অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মাঝেমধ্যে বেসিনে লবণ ছড়িয়ে রাখতে পারেন। এতেও জীবাণু প্রতিরোধ সম্ভব।
• দাগ দূর করতে বেসিনের কল ভালোভাবে বন্ধ করে রাখতে হবে। কারণ. পানি পড়ার দাগই একসময় স্থায়ী রূপ ধারণ করে। সাধারণত বাজারে যেসব পরিষ্কারকারক লিকুইড পাওয়া যায়, তার সঙ্গে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে মাজুনি কিংবা ব্রাশের সাহায্যে এই দাগ পরিষ্কার করা যায়। তবে খাঁজকাটা অংশগুলোর ময়লা দূর করতে অবশ্যই ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো
ছবিঃ সংগৃহীত