কোন দেয়ালে কেমন পর্দা
ঘরের প্রাইভেসি রক্ষায়, রোদ থেকে বাঁচতে কিংবা সৌন্দর্য বাড়াতে পর্দার ভূমিকা কম নয়। কোন দেয়ালে কেমন পর্দা মানানসই—জানিয়েছেন পারিজাত একাডেমির স্বত্বাধিকারী জিন্নাত রায়হান সুমী।
কোন দেয়ালে কেমন পর্দা-
বাজারে গিয়ে অনেক ধরনের পর্দাই ভালো লাগে। কোনোটা মনে ধরে গেলে অনেকে হুট করে কিনেও ফেলেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, দেয়ালের রং কিংবা আসবাবপত্রের সঙ্গে মিলছে না পর্দার ডিজাইন। এ জন্য পর্দা পছন্দ করার আগে ভেবে নিন ঠিক কোন ঘরের জন্য পর্দাটি কিনছেন। বসার ঘরের দেয়ালে সাধারণত পাতলা পর্দা মানিয়ে যায়। ঘরের ভেতর আলো প্রবেশের সুযোগও পায়।
শোবার ঘরের দেয়ালে একটু ভারী পর্দাই ভালো। যেহেতু শোবার ঘর ব্যবহূত হয় বিশ্রামের জন্য। তাই এ ঘরে দরকার প্রাইভেসিও। আলো তুলনামূলক কম এলে শোবার ঘরের শান্ত পরিবেশ বজায় থাকে, যা আপনাকে শান্তির ঘুম দিতে সাহায্য করবে। খাবার ঘরের দেয়ালে পর্দার রং বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে ঘিয়ে কিংবা চকোলেট রঙের পর্দা ডাইনিং রুমকে আলাদা আবেদন এনে দেবে। অন্যদিকে যদি বাথরুমে পর্দা ব্যবহার করতে চান, সে ক্ষেত্রে হাত বাড়াতে পারেন নানা ধরনের প্রিন্টের দিকে। যে কোনো দেয়ালের পর্দা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে রং খুব গুরুত্বপূর্ণ। সহজ সমাধান হলো, দেয়ালের রঙের সঙ্গে কন্ট্রাস্টে পর্দার রং বাছতে পারেন। ছিমছাম ঘরের সাজে কন্ট্রাস্টের বদলে দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিন পর্দা।
ডিজাইন ও কাপড়ের ধরন-
পর্দা বানানোর সময় নানা ধরনের ডিজাইন যেমন পাওয়া যায়, তেমনি কাপড়ের ধরনেও থাকে ভিন্নতা। যদি ঘরের কোনো রুমে প্রচুর পরিমাণ রোদ প্রবেশ করে, সেখানে ভারী রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। এতে রোদের তাপে রং জ্বলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। সুতির পাশাপাশি লিনেন, মখমল কিংবা সিল্কের পর্দা বাড়িতে এনে দেবে আভিজাত্য। দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য সিল্ক হতে পারে টেকসই সমাধান, যা ঘরের সৌন্দর্যকেও বাড়াবে। পর্দার নকশার ক্ষেত্রে এমব্রয়ডারি বরাবরই জনপ্রিয়। হাল সময়ে এই তালিকায় স্থান পেয়েছে হ্যান্ডপেইন্ট, ব্লক, বাটিক, প্রিন্ট ইত্যাদি। তবে একরঙা পর্দার আবেদন বরাবরই সমাদৃত অনেকের কাছে। পর্দার নানা ধরনের নকশার পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন ফিতা, পুঁতির মালা, কাঠের বোতাম, বাড়তি কাপড়, লেইস ইত্যাদি। পর্দা ঝোলানোর জন্য যে স্ট্যান্ড ব্যবহার করা হয়, তাকে বলা হয় পেলমেট। পেলমেটেরও রয়েছে নানা ধরনের সাজের উপকরণ।
ভিন্ন ধরনের পর্দা-
কাপড় দিয়েই পর্দা হয়—এমন কিন্তু নয়। এখন অনেকেই বাঁশ ও বেতের পর্দা ব্যবহার করছেন ঘরের জানালায়। পাটি কিংবা মাদুরও হতে পারে পর্দার বিকল্প। গরমের সময় এ ধরনের পর্দা আপনাকে শুধু ছায়া দেবে তা নয়, পাশাপাশি থাকবে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও। পড়ার ঘর কিংবা বারান্দার ছোট্ট বাগানে এই ধরনের পর্দা হতে পারে দারুণ সংযোজন।
পুরনো শাড়ি, হোক তা কাতান বা জামদানি, তা কেটে নিয়েও তৈরি করতে পারেন পর্দা। ঘরে তা এনে দিতে পারে অনন্য লুক।
সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ