সারাদিনের ঈদের সাজ
সকালের সাজে স্নিগ্ধ ছোঁয়া-
ঈদের দিন সকালের সাজটা একটু সহজাত হলেই দেখতে ভালো লাগবে। এই সময় হালকা মেকআপ মানানসই। নিজের ত্বককে এক শেড উজ্জ্বল দেখানোর জন্য প্রাইমারের ব্যবহার করতে হবে। এরপর পুরো মুখে হালকা ফেস পাউডার লাগাতে পারেন। মুখে যদি হালকা দাগ থাকে, তা ঢাকতে কনসিলারের ব্যবহার করা যায়।
অনেকেই ন্যাচারাল সাজের সময় চোখে শ্যাডোর ব্যবহার এড়িয়ে যান। এতে করে সাজার পর চোখ ম্যাড়মেড়ে দেখায়। ন্যাচারাল মেকআপে হালকা বাদামি রঙের শ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। এই শ্যাডো চোখকে ফুটিয়ে তোলে। ঈদের সকালে যাঁদের সালোয়ার-কামিজ পরার ইচ্ছা আছে, তাদের চোখে ঘন মাসকারা ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন শারমীন কচি। শাড়ির সঙ্গে চোখের কোণে ব্লেন্ড করে নেওয়া কাজল ভালো দেখাবে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ন্যুড রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা ভালো।
উৎসবের আমেজে দুপুর বেলা-
দুপুরের সাজে উৎসবের আমেজ আনতে মুখের বেইসটাকে ফোকাস করার কথা বললেন রূপ বিশেষজ্ঞ শারমীন কচি। প্রাইমার, বিবি ক্রিম আর ফাউন্ডেশনের ব্যবহারে বেস করতে হবে। এরপর কনট্যুরিং করার সময় মাথায় রাখতে হবে যেন মুখের টি জোন ফুটে ওঠে। ফেস পাউডার বা কমপ্যাক্ট পাউডারের হালকা প্রলেপ দিতে হবে। এবার হাইলাইটার দিয়ে টি জোনকে ফুটিয়ে তুলতে হবে। কনট্যুর এরিয়ার ওপরে ব্লাশন বোনেও হাইলাইটারের ব্যবহার করা যায়। এবার এখানে হালকা রঙের ব্লাশন দিন। এই সময় চোখের সাজে আনতে পারেন হালকা স্মোকি ভাব।
পোশাক থেকে যেকোনো একটা রং ঠিক করুন। সেই রঙের হালকা টোনের শ্যাডো দিয়ে পুরো চোখটাকে সাজিয়ে তুললে ভালো দেখাবে। এরপর হালকা ছাই রঙের শ্যাডো দিয়ে চোখের কোণে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। শাড়ি পরলে ভিন্ন ভিন্ন রঙের পেনসিল লাইনার ব্যবহার করুন। চোখের নিচে বাদামি শ্যাডো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সকালের মতো দুপুরের সাজেও বেছে নিতে পারেন লিপস্টিকে ন্যুড কালার।
রাতে চলুক জমকালো সাজ-
রাতের বেলার সাজেও বেজকে ফোকাস করতে হবে। তবে দুপুরের সঙ্গে রাতের সাজের পার্থক্য থাকবে চোখে। এই সময় চোখের সাজে থাকবে রঙের বাহার। অর্থাৎ পোশাকের সঙ্গে বিপরীত (কনট্রাস্ট) রঙের ব্যবহার থাকবে চোখে। এখন বাজারে একটু চকমকে আইশ্যাডো পাওয়া যায়। চোখে স্মোকি লুক এনে চোখের পাতাজুড়ে একটু চকচকে (গ্লসি) শ্যাডো লাগিয়ে নিলেই পূর্ণ হবে রাতের সাজ। চোখের মতো লিপস্টিকের রংও হবে বিপরীত।
সূত্র ও ছবিঃ দৈনিক প্রথম আলো