ফুলস্লিভ ব্লাউজের সাথে শাড়ী
ব্লাউজের চলন সবসময়ই শাড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে। তবে যুগের সঙ্গে সে ধারণার উন্নতি ঘটেছে বেশ। পোশাক হিসেবে আলাদাভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করছে ব্লাউজও।
হাতের গঠন মোটা হলে এই কাটে থ্রি-কোয়ার্টার বা ফুলস্লিভ খুবই মানাবে। সরু হাতার ক্ষেত্রে ব্লাউজের হাতা ফিটিং রাখার বিষয় মাথায় রাখতে হবে। হাতা লুজ হলে একদমই বেমানান লাগবে। এ ধরনের ব্লাউজে ভয়েল, শিফন বা জর্জেট, ক্রেপ বা শার্টিনের মতো হালকা ধরনের ফেব্রিক্স উপযুক্ত। প্রিন্টেড ব্লাউজ চাইলে অবশ্যই ছোট মোটিফ বেছে নিতে হবে।
নারীকে অনন্য রূপে উপস্থাপনে সঠিক মাপের একটি ব্লাউজই যথেষ্ট। গলার নকশা, হাতার প্যাটার্ন, ভিন্ন রঙের মিশ্রণ, জরি পুঁতির ব্যবহার, অ্যাম্ব্রয়ডারি, লেস, ফিতা ইত্যাদির উপস্থিতিতে হতে পারে নজরকাড়া একটি ব্লাউজ। আজকাল তো ভারী হাতের কাজের ব্লাউজেরও দারুণ চল। এমন একটি ব্লাউজে হয়তো সাধারণ শাড়িতে আপনি হয়ে উঠতে পারেন অনন্য।
এসব ক্ষেত্রে প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে ব্লাউজের কাটের দিকে। কারণ দেহের গঠনের ওপর নির্ভর করে ব্লাউজের ধরন। শোল্ডার, নেক, স্লিভ, ব্যাক, বটমসহ প্রতিটি অংশের কাটিং সব বডিশেপে মানায় না। তাই জেনে-বুঝে ব্লাউজের কাটিং প্যাটার্ন নির্বাচন করতে হবে। ভিন্নতা আনা যেতে পারে ফেব্রিক্সের ক্ষেত্রেও।
যেসব মেয়ের দেহগড়নে হিপ তুলনামূলক ভারী, কোমরের মাপ সরু বা মাঝারি তাদের ব্লাউজে কাঁধের অংশ উন্মুক্ত না রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বরং ছোট গলা কিংবা কাঁধ ঢেকে থাকে এমন কাটিং নির্বাচন করুন। যেমন হাইনেক, হল্টারনেট, চায়নিজ কলার, কলারনেক এমন শেপের সঙ্গে মানানসই। এদের ভিন্টেজ কাটের ব্লাউজ সবচেয়ে ভালো মানায়। শীতের মৌসুম হওয়ায় এই কাটে ফুলস্লিভ ব্লাউজ উপযুক্ত। ফ্যাশনেবল চাইলে পিঠ খোলা রাখতে পারেন। ব্লাউজের ফেব্রিক্সের জন্য ভেলভেট, তসরসিল্ক, বারকোড উপযুক্ত হতে পারে।
খুব বেশি নকশাদার কাঁধঢাকা কাটিং এড়িয়ে চলা ভালো। বড় গলা ও লম্বায় খানিকটা বড় কাট নির্বাচন করতে পারেন। হাতের গঠন মোটা হলে এই কাটে থ্রি-কোয়ার্টার বা ফুলস্লিভ খুবই মানাবে। সরু হাতার ক্ষেত্রে ব্লাউজের হাতা ফিটিং রাখার বিষয় মাথায় রাখতে হবে। হাতা লুজ হলে একদমই বেমানান লাগবে। এ ধরনের ব্লাউজে ভয়েল, শিফন বা জর্জেট, ক্রেপ বা শার্টিনের মতো হালকা ধরনের ফেব্রিক্স উপযুক্ত। প্রিন্টেড ব্লাউজ চাইলে অবশ্যই ছোট মোটিফ বেছে নিতে হবে।
হিপ ও বডির তুলনায় কোমর বেশি এবং বডির আকার মাঝারি থেকে ভারী হলে নাভি পর্যন্ত লম্বা ব্লাউজ পরুন। থ্রি-কোয়ার্টার ও ফুলস্লিভে ভালো লাগবে। হালকা কাজের অ্যাম্ব্রয়ডারি ব্লাউজে জমকালো ভাব আনবে। তাঁত, সিল্ক, নেট বা জর্জেট শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে ইচ্ছামতো বেছে নিতে পারেন।
আজকাল তো ব্লাউজের সঙ্গে কটিও বেশ ট্রেন্ডি। উচ্চতা কম হলে ফুলস্লিভ এড়িয়ে শর্টস্লিভ ও স্লিভলেস ডিজাইনের ব্লাউজ বেছে নিন। তার ওপর জড়িয়ে নিন কোমর অবধি লম্বা কটি। মাঝারি উচ্চতার মেয়েরা ছোট গলা, হাইনেক, কলার ইচ্ছামতো কাট বেছে নিতে পারেন।
ফ্যাশনেবল প্রিন্সেস কাটের ব্লাউজের সঙ্গে মাঝারি আকারের কটি ব্যবহার বেশ ট্রেন্ডি দেখাবে। ছাপা নকশার মধ্যে এখন ফুলেল প্রিন্ট ও বাটিক সবচেয়ে ট্রেন্ডি। এর সঙ্গে গ্রামীণ চেক, গামছা প্রিন্ট, ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, পলকা ডট, নকশি কাঁথা ডিজাইন, হাতের ফুলেল ডিজাইন বেশ জনপ্রিয়। কিছু ব্লাউজে উঠে আসে জমকালো হাতার কাজ। এমন ব্লাউজে বডি একরঙা থাকে।
একরঙা বা সলিড যে কোনো শাড়ির সঙ্গে এ ধরনের ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন নিশ্চিন্তে। তবে উচ্চতা নিয়ে মনের মাঝে দ্বিধা থাকলে ছোট ও হালকা প্রিন্টের ব্লাউজই আপনার জন্য উপযুক্ত। লম্বা কাটের খানিকটা বড় ব্লাউজ কম উচ্চতা লুকাতে সাহায্য করে।
আপনার বেছে নেওয়া ব্লাউজটি হতে পারে ফিউশন ধাঁচের কাটে। সহজেই যেন তা পাঞ্জাবি বা কামিজ লুক এনে দেয়। এগুলোর দৈর্ঘ্য থাকে কোমরের নিচ অবদি। সব মিলিয়ে অনন্য আপনি হাজির হতে পারেন সবার মাঝে।
সূত্র ঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন