যেসব কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুকিঁ বাড়ে
প্রতি ৮ জন নারীর মধ্যে একজনের ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে এবং প্রতি ৩৬ জন আক্রান্ত নারীর মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা একজনের। যদিও ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয়, তা অনেকের কাছে অজানা। নারী-পুরুষ উভয়ই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। নারীদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
সাধারণত নরীদের ৪০ বছর পেরনোর পর ব্রেস্ট ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়। দৈনন্দিন জীবন-যাপনের পদ্ধতিও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন-
১. ওজন বৃদ্ধি-
বয়ঃসন্ধির আগে থেকেই সুস্থ খাওয়া শুরু করুন। নিজের ওজন উপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। যারা অতিরিক্ত বার্গার বা ফ্যাট জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁদের মেনোপজ পরবর্তী সময়ে ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে।
২. মদ্যপান ও ধূমপান-
মদ্যপান ও ধূমপান থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। মদ্যপান ব্রেস্ট ক্যান্সার-সহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি (এইচআরটি) এবং গর্ভনিরোধক ঔষধ-
হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি ও নিয়মিত গর্ভনিরোধক ঔষধ ব্যবহারের ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
৪. রাতে অফিস-
জীবনযাত্রার ধরন অনিয়মিত হলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আমাদের সমাজে অনেকেই আছেন যারা অফিসে রাতে কাজ করেন, সে ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৫. শরীরচর্চা-
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এতে যেমন নিরোগ থাকা যায় তেমনি মনও থাকে চাঙ্গা। আর নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ইস্ট্রজেন এবং ইনসুলিন নির্গত হতে বাধা দেয়। ফলে ক্যান্সারের প্রবণতা কমে যায়। সুতরাং, ব্রেস্ট ক্যান্সারের হাত থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত শরীর চর্চা করুন বা হাঁটুন।
৬. অন্যান্য-
কিছু অন্যান্য কারণ আছে যেগুলি নারীরা উপেক্ষা করেন। তা হল অতিরিক্ত ডিওড্রেন্ট, পারফিউম ব্যবহার। গর্ভপাত, ব্রেস্ট প্রতিস্থাপনও ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
সূত্রঃ দৈনিক প্রতিদিন
ছবিঃ সংগৃহীত