ঝুলে পড়া ব্রেষ্ট ঠিক করুন
মধ্য বয়সে পৌছে বেশীরভাগ নারীই যে সমস্যার মুখোমুখি হোন সে বিষয় নিয়ে।নানা কারনে ব্রেষ্ট ঝুলে পড়তে পারে, ব্রেষ্ট এর এই ঝুলে পড়া শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় অনেকখানি। কিছু হোম রিমেডির মাধ্যমে আপনিও এই সমস্যায় থাকলে, সেটা ঠিক করে নিতে পারেন।
অনেক কারনেই ব্রেষ্ট লুজ হয়ে যায়-
১. বয়সের কারনে ৩০-৩৫ বছরের পর থেকেই নারীদের ব্রেষ্ট লুজ হতে শুরু করে।
২. প্রেগনেন্সির কারনেও লুজ হয়।
৩. অনেক নারীর সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে, সিগারেট শরীরের এক ধরনে প্রোটিন আছে যা ‘ইলাস্ট্রিন’ নামে পরিচিত সেটাকে প্রভাবিত করে, এই ইলাস্ট্রিন ত্বকের ইলাস্ট্রিসিটিকে ধরে রাখে, ধুমপান করার কারনে ত্বক লুজ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৪. শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারনেও নারীদের ব্রেষ্ট লুজ হয়ে যায়।
৫. সঠিক মাপের ব্রা বেছে নিতে না পারলেও ব্রেষ্ট লুজ হতে পারে, দিনের পর দিন আপনি যদি অনেক টাইট অথবা অনেক বেশী লুজ ব্রা পরেন সেটার কারনেও ব্রেষ্ট লুজ হয়ে যায়।
৬. জেনেটিক কারনেও অনেকের ব্রেষ্ট অল্প বয়সেই লুজ হয়ে যেতে পারে।
উপরোক্ত কারনগুলোর মধ্যে যেগুলো আপনার ক্ষেত্রে সম্ভব হতে পারে, চেষ্টা করুন সে কারনগুলো এড়িয়ে যেতে।
লুজ ব্রেষ্ট কে ঠিক করতে যেই সকল ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেনঃ
১. অলিভ অয়েল-
অলিভ অয়েলে আছে ফ্যাটি এসিড এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা লুজ হয়ে যাওয়া ত্বক টান টান করতে পারে। দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিন। প্রতি ব্রেষ্টের জন্য ১ টেবিল চামচ করে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন। হাতের তালুতে অলিভ অয়েল নিয়ে দুহাত একসাথে ঘষে তেলটি হালকা গরম করে ফেলুন, তারপর আপনার হাতের তালু দিয়ে নরম ভাবে ব্রেষ্টের নিচ থেকে উপরের দিকে ম্যাসেজ করুন। আপওয়ার্ড মোশনে এভাবে ২০ মিনিট ম্যাসেজ করুন প্রতি ব্রেষ্ট। দ্রুত ফল পেতে সপ্তাহে ৪-৫ বার এভাবে ম্যাসেজ করুন।
২. মেথির গুড়া-
মেথির গুড়াতে থাকা উপাদানও ত্বক টান টান করে। এক কাপ মেথির গুড়ার সাথে পর্যাপ্ত পরিমান পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। এই পেষ্টটি নরমভাবে ব্রেষ্ট এ লাগিয়ে ম্যাসেজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ভালো রেজাল্ট পেতে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
৩. আইস কিউব-
এটা খুব সহজ একটি পদ্ধতি। সিম্পল একটি আইস ম্যাসেজও আপনার ব্রেষ্টের ফার্মনেস ধরে রাখতে পারে। একটি আইস কিউব নিয়ে ব্রেষ্টের চারপাশে ২ মিনিট হালকাভাবে ঘষুন। এভাবে অন্য ব্রেষ্টটিতেও আরেকটি আইস কিউব নিয়ে ২ মিনিট ঘষুন। এবার সফট একটি টাওয়েল দিয়ে মুছে নিয়ে চিত হয়ে আধ ঘন্টা রিল্যাক্স ভাবে শুয়ে থাকুন।
৪. ডিমের কুসুম এবং শসা-
ডিমে থাকা প্রোটিন এবং ভিটামিন আর শসার স্কিন টোনিং করার ক্ষমতা আপনার লুজ ব্রেষ্টকে টান টান করতে অনেক বেশী কার্যকরী। একটি ডিমের কুসুম নিন, সাথে শসার পেষ্ট নিন। দুটো ভালোভাবে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন, এবার পেষ্টটি ব্রেষ্টে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এটি একবার করুন।
উপরে দেয়া প্রত্যেকটি রিমেডিই খুব সহজ যা দিয়ে আপনি আপনার লুজ ব্রেষ্ট কে টানটান করতে পারবেন। এর পাশাপাশি দৈনন্দিন কিছু বিষয় আপনাকে সচেতন থাকতে হবে, সূর্যের আলোতে কম যাওয়া, কালো অর্ন্তবাস কম পড়া বিশেষ করে সূর্যের আলোতে, পানি পান করুন প্রচুর, পুষ্টিকর খাবার খান যেন ত্বকের ইলাস্টিসিটি ঠিক থাকে।
যদি টিপসগুলো আপনার কাছে ভালো লাগে, অথবা ব্যবহার করার পর আপনি কতটুকু বেনিফিট পাচ্ছেন সেই মতামত জানাতে পারেন। মতামত জানাতে লগ ইন করে কমেন্টস করুন।
ছবিঃ সংগৃহীত