রান্না অনুযায়ী তেলের ব্যবহার
নানা পদের তেলের মধ্য থেকে স্বাস্থ্যসম্মত তেল বেছে নেওয়াটাও কম ঝামেলার নয়। তবে ঠিকঠাক পুষ্টি পেতে কোন তেল কীভাবে ব্যবহার করবেন তা জানা জরুরি।
স্বাস্থ্যসম্মত তেলের জোগাড় করলেন ঠিকই, তবে কোন তেলে কেমন রান্না করবেন সে সম্পর্কেও জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আমাদের দেহে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে যেমন তেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ তেমনি মুখত্বক ও দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক রাখতেও ঠিকঠাক তেল ব্যবহার জরুরি।
রান্নায় আমরা সাধারণত দুই ধরনের তেল ব্যবহার করে থাকি-
১. রিফাইন্ড-
২. আনরিফাইন্ড-
বেশির ভাগ আনরিফাইন্ড তেলে স্মোকিং পয়েন্ট কম থাকে, যা বেশি তাপমাত্রায় রান্না করার উপযোগী। তাই এ জাতীয় তেল মূলত সালাদ, ম্যারিনেশন এবং সস তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলে প্রচুর বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান থাকে, যা শরীরের উপকারের পাশাপাশি রান্নায় স্বাদ বাড়ায় এবং এতে ভিটামিন ই’র পরিমাণ বেশি থাকে। তেল আনরিফাইন্ড হওয়ার পাশাপাশি মোনো আনস্যাচুরেটেড হয়, তবে তো আরও ভালো। এ ধরনের তেলের তালিকায় রয়েছে অলিভ অয়েল, রাইন ব্র্যান, তিলের তেল, সরিষার তেল ইত্যাদি।
এ ছাড়াও কোন রান্নায় কোন তেল ব্যবহার করবেন তার জন্য স্মোকিং পয়েন্ট সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত। অনেকেই মনে করেন, রান্নায় অলিভ অয়েল বা স্বাস্থ্যসম্মত কোনো তেল ব্যবহার করা মানেই পুষ্টিকর ডায়েট মানা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। কোন তেল, কীভাবে এবং কতটুকু মাত্রায় ব্যবহার করছেন তাও জেনে রাখা উচিত। যেমন অলিভ অয়েলের স্মোকিং পয়েন্ট বেশ কম। তাই এই তেল স্যুপ, সালাদ এবং কম আঁচে রান্না করা সবজিতে ব্যবহার করা উচিত। অন্যদিকে রাইস ব্র্যান অয়েলের স্মোকিং পয়েন্ট বেশি। বেশি ফ্রাই বা ভাজার জন্য এই তেল বাছুন।
চালের তুষ থেকে তৈরি রাইস ব্র্যান অয়েল মোনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে। এই তেলে ওরাইজনল উপস্থিত, যা দেহের কোলেস্টেরল কম করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও রাইস ব্র্যান অয়েলে থাকা ভিটামিন ই স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। চিরায়ত সরিষার তেলে মোনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে এবং সাধারণ ফিল্টার ও রিফাইন্ড দুই ধরনেরই হয়। সঙ্গে এরুসিক অ্যাসিডও থাকে, যা বেশি মাত্রায় তিকারক। তাই সরিষার তেলের সঙ্গে অন্য তেল মিশিয়ে ব্যবহার করাই শ্রেয়।
সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন
ছবিঃ সংগৃহীত