ছেলেদের জন্যেও দরকার চুলের যত্ন

ছেলেদের জন্যেও দরকার চুলের যত্ন

চুলের নানা সমস্যায় ভোগেন ছেলেরাও। বিশেষ করে ছেলেদের চুল পড়া সমস্যায় পড়তে দেখা যায় অনেক বেশি। এ ছাড়া রুক্ষতা, তেলচিটচিটে ভাব, খুশকি তো রয়েছেই। চুলের সৌন্দর্য আর সুস্থতার জন্য ছেলেদেরও তাই প্রয়োজন চুলের বিশেষ যতœ নেওয়া।

 

নিয়মিত শ্যাম্পু করুন-

চুল পরিষ্কার রাখতে একদিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু ব্যবহার করার সময় এর সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে নিন। এবার ওই শ্যাম্পু চুলের গোড়ার কাছাকাছি লাগিয়ে আলতো করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখুন মাথার তালুতে যেন শ্যাম্পু না লাগে। কারণ মাথার তালুতে শ্যাম্পু লেগে থাকলে খুশকি হতে পারে।

 

কন্ডিশনার ব্যবহার করুন-

ছেলেদের চুলেও কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এতে চুল উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়। কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় লাগানো উচিত নয়, এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। বাজারের কেনা কন্ডিশনারের চেয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার চুলের জন্য বেশি উপকারী। প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন চায়ের লিকার। এক মগ চায়ের লিকার ছেঁকে ঠা-া করে শ্যাম্পু করার পর তা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যাবে।

 

রুক্ষতা দূর করতে-

নিত্যদিনের রোদ, ধুলাময়লা ছেলেদের চুলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তার ওপর অযতœ আর অসতর্কতা তো আছেই! এতে অনেকেরই চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। চুলের রুক্ষতা দূর করতে নারকেল তেল, ক্যাস্টার অয়েল, গ্লিসারিন, ভিনেগার, মধু সব উপাদান এক চা চামচ করে একসঙ্গে মিশিয়ে তার সঙ্গে একটি পাকা কলা ব্লেন্ড করে নিন। এবার মিশ্রণটি চুলে এক ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুল নরম ও স্বাস্থ্যবান রাখতে প্যাকটি সপ্তাহে ১-২ দিন ব্যবহার করুন।

 

চুল খুশকিমুক্ত রাখতে-

চুল ময়লা হলে এবং নিয়মিত পরিষ্কার করা না হলে খুশকি হতে পারে। আবার অন্যের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কাভার ব্যবহারেও খুশকি হতে পারে। তাই এগুলো যথাসাধ্য পরিষ্কার এবং আলাদা রাখুন। আপনার ব্যবহৃত চিরুন মাঝে মধ্যে ডেটল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে। মনে রাখবেন খুশকি হলে চুলে তেল দেওয়া যাবে না। এতে খুশকি চুলের গোড়ায় লেগে থাকে। খুশকি দূর করতে একদিন পরপর চুলে খুশকি প্রতিরোধক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ব্যবহার করতে পারেন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান। যেমন-

টকদই ও মেহেদি একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে মেখে ৩৫-৪০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে খুশকি যেমন দূর হবে, তেমনি চুল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।

চুলের গোড়ায় পেঁয়াজের রস লাগিয়ে রাখুন। খুশকি কমে যায়। পেঁয়াজের রস নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

 

চুল পড়া রোধে-

চুল পড়া রোধে ডিম সবচেয়ে ভালো উপাদান। একটি ডিমের সাদা অংশ, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি ভালো করে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ডিম আপনার চুলের পুষ্টি জোগান দেবে। ফলে চুল পড়া রোধ হবে, সঙ্গে সঙ্গে আপনার চুল হবে সিল্কি।

 

উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে-

চুল নিস্তেজ ও অনুজ্জ্বল হয়ে পড়েছে? খুব সহজেই ফিরিয়ে আনতে পারেন চুলের উজ্জ্বলতা। চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে শ্যাম্পু করার আগে লেবুর রসে চুল ভিজিয়ে নিন। জলপাই তেল গরম করে চুলে ব্যবহার করলেও চুল উজ্জ্বল ও মজবুত হয়।

 

 

সূত্রঃ দৈনিক আমাদের সময়