শীতে ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার
হিমশীতলতা আর বাতাসে পিঠাপুলির ঘ্রাণ নিয়ে আগমন ঘটে বাংলা সনের পঞ্চম ঋতু শীতের। শীত মানেই একরাশ আগাম প্রস্তুতি। বছরের একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গুটিসুটি মেরে থাকা লেপ, কম্বল আর গরম কাপড়ের হাই তুলে ঘুম ভাঙার সময়। শীতের এই সময়ের অন্যতম একটি আকর্ষণ হচ্ছে পিঠা, পায়েস আর রসের হাঁড়ি। তবে এরা কেবল শীতকে আকর্ষণীয়ই করে তোলে না তার সঙ্গে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত।
শীত আমাদের জীবনে অন্য ঋতুর তুলনায় একটু আলাদাভাবে নিজেকে নিয়ে আসে। কখনও একসঙ্গে আগুনের পাশে জড় হয়ে বসার আনন্দে আবার কখনও চায়ের অথবা কফি হাতে ধোঁয়া ওঠার আড্ডার আসরে। তবে এসব বিষয়ে এর প্রাণবন্ততা থাকলেও শুধু অভাব পড়ে যেন ত্বকের বেলায়। শীতের এই সময় যেন ত্বকের ক্ষেত্রে সব কৃপণতা শীতের! মূলত শীতের এই আবহাওয়া রুক্ষতাই এর কারণ। যার কারণে ত্বকে কালচে দাগ, ঠোঁট ফাটা আর ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয় শীতের এই পুরোটা সময়জুড়ে।
শীতের এই ত্বকের প্রতি কৃপণতা হলেও অন্য দিকে এর মুখে হাসি ফুটাতে আছে শীতের এই সময়ের নানা ময়েশ্চারাইজার, লোশন আর অলিভ ওয়েল। এই লিস্টে তাই বাদ পরে না গ্লিসারিনের নামও। শীতের এই রুক্ষতা যখন ত্বকের নানা সমস্যা সৃষ্টি করে তখন ত্বককে কোমল করতে বন্ধুর মতো পাশে থাকে এসব বডি লোশন, অলিভ ওয়েল আর গ্লিসারিনের। তবে ত্বকের ধরন বুঝে উচিত এসব শীতের সময়ের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।
বাজারে এই শীতের সময়ে খুব সহজেই পাবেন ভেজলিন, ডাব, পন্ডস, প্যারাসুট, নেভিয়া, বরোপ্লাস, ইয়ার্ডলিসহ নানা নামিদামি ব্র্যান্ডের বডি লোশন। তবে যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের ক্ষেত্রে বডি লোশন ব্যবহার করাই ভালো। যাদের রুক্ষ ত্বক তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদাভাবে বডি লোশনের ব্যবহার আপনার ত্বককে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে। সেই ক্ষেত্রে অর্ধের বডি লোশনের সঙ্গে গ্লিসারিন আর তার সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে লোশন আর গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করলে বেশ চটপট সুফল পাওয়া যায়।
যারা বাইরে বেশ কিছুটা সময় কাজের ব্যস্ততার জন্য কাটান তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী। আর যাদের ত্বক খুব রুক্ষ কিংবা তৈলাক্ত না তারা অনায়াসে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। সারা দিনের কাজের ব্যস্ততা আর তার সঙ্গে পাওয়া ত্বকের এই বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতে খুব সহজে আপনার হাতের নাগালেই পাবেন এসব প্রসাধনী। তবে কেনার আগে মেয়াদের উত্তীর্ণের সময় আর আপনার ত্বকের সঙ্গে কতখানি মানাচ্ছে তার দিকে নজর রাখুন।
দাম
vaseline (ভেজলিন) বড়টার দাম পড়বে ৪৫৪ টাকা আর মাঝারি ৩৪৫ টাকা আর ছোটটা ১২০ টাকা। তবে যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের ক্ষেত্রে ইন্টেনসিভ কেয়ার ব্যবহার করাই ভালো। এটির দাম পড়বে ৪৫০ টাকা।
Olive oil (ওলিভ ওয়েল) কাচের বোতলের দাম পড়বে ৪০০ টাকা আর টিনের কৌটার দাম পড়বে ১৫০ টাকা।
Dove (ডাভ)-এর দাম পড়বে ৪৫০ টাকা।
Yardley (ইয়ার্ডলি) ৮৩০ থেকে ৯৫০ টাকা পড়বে এর দাম।
perachute (প্যারাসুট) এটির দাম পড়বে ১৯০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।
Olay (ওলে) এর দাম পড়বে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
গ্লিসারিনের দাম পড়বে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
কোথায় পাবেন
যমুনা ফিউচার পার্ক, ইস্টান প্লাজা, রাজউক, নিগার প্লাজা, নিউমার্কেট থেকে শুরু করে আপনার আশপাশের প্রসাধনীর দোকানে।
সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর
ছবিঃ সংগৃহীত