ইয়ার কাফ- ফ্যাশনে নতুন
পুরাতন সব ট্রেন্ডগুলো এক এক করে ফিরে আসছে হাল ফ্যাশনে। চোকার, পালাজ্জো প্যান্ট, ঢোলা শার্ট সবই ছিল সেকেলে ফ্যাশনে। সেই ধারায় ফিরে এসেছে ইয়ার কাফ।
তবে এই অনুষঙ্গে নতুনত্ব এসেছে নানান মাত্রায়। ছোট হুকের মতো কাফ থেকে শুরু করে স্টোন বসানো কিছুটা ভারি ইয়ার কাফও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সাধারন কানের দুল কানের নিচের অংশেই থাকে, ইয়ার কাফ সেখানে পুরোটা জুড়ে থাকে। এখন নানান ধরনের ইয়ার কাফ পাওয়া যায়, দুলের সঙ্গে লাগানোর ইয়ার কাফও এখন বেশ সহজলভ্য।
যেকোনো অনুষ্ঠানে নিজেকে আকর্ষনীয় হিসাবে উপস্থাপন করতে চাইলে ইয়ার কাফের জুড়ি নেই। কারণ সাধারণ একটি কানের দুল চোখ এড়িয়ে গেলেও ইয়ার কাফ কোনভাবেই চোখ এড়াবে না। সাদামাটা পোশাকের সঙ্গে জমকালো এই অনুষঙ্গ আপনাকে করবে পার্টি রেডি।
প্রথমেই ভারি বা বেশি জমকালো ইয়ারকাফ কানে গলাতে অস্বস্তি লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে হালকা এবং হুকের মতো ইয়ারকাফ দিয়ে শুরুটা করা যেতে পারে।
ইয়ারকাফ পরার সব থেকে বড় সুবিধা হলো, কানে একটার বেশি দুল পরতে গেলেই নতুন করে কান ফোড়ানোর প্রয়োজন পরে, কিন্তু ইয়ার কাফের ক্ষেত্রে তার কোনো প্রয়োজন নেই। বেশিরভাগ ইয়ার কাফই হুক স্টাইলের হয়ে থাকে। তাই খুব একটা সমস্যা পোহাতে হয় না।
ইয়ার কাফ মূলত দুই রকমের হয়; নিচের দিকে ঝোলানো এবং কানের ওপর বসানো। আমাদের দেশের মেয়েদের চুল সাধারণত খুব একটা ছোট রাখা হয় না। তাই এদেশে ঝোলানো ইয়ার কাফই বেশি জনপ্রিয়। এর আরেকটি কারণ হচ্ছে এটি প্রায় সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায়।
চুলের লেংথ বুঝে ইয়ার কাফ-
ইয়ার কাফ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চুলের ধরন ও দৈর্ঘ্যর কথা খেয়াল রাখতে হবে। কারন চুলের স্টাইলের সঙ্গে ইয়ার কাফ কতটা মানাবে তা নির্ভর করে। লম্বা চুলে যেমন ঝোলানো কাফ মানিয়ে যায়, তেমনি ছোট চুল হলে কানের ওপরের অংশে বসানো কাফ বেশি মানাবে। চুল সোজা হলে সব ধরনের ইয়ার কাফেই মানিয়ে যেতে পারে। ইয়ার কাফ পরলে চুলগুলোকে একটু গুছিয়ে রাখা উচিত। কারন অগোছালো চুলে ইয়ার কাফ আড়াল হয়ে যেতে পারে।
ইয়ার কাফের সাথে হেয়ার স্টাইল-
সেক্ষেত্রে চুল উঁচু ঝুঁটি বা মেসি বান করা যেতে পারে। ছেড়ে রাখতে চাইলে একপাশে এনে সেট করেও রাখা যায়। কারন কাফ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক কানেই পরা হয়। তবে দেশীয় পোশাকের ক্ষেত্রে দুই কানে কাফ ভালো লাগে। এক কানে কাফ ওয়েস্টার্নের জন্য তোলা থাক।
বিয়ে বা জমকালো অনুষ্ঠানে পরার ক্ষেত্রে টানা চেইনের মতো ইয়ারকাফ দেখা যায়। চলতি ফ্যাশনে জমকালো সাজের জন্য এই দুলগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মেটালের ইয়ার কাফের প্রচলন হলেও স্টোন বা কুন্দর বসানো কাফও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর আমাদের দেশীয় পোশাকের সঙ্গে ভারি সাজের ক্ষেত্রে ওই ধরনের কাফগুলোই মানিয়ে যায়। ভারি কাফগুলো বেশ গর্জিয়াস হয়ে থাকে। তাই কানে ভারি কাফের সঙ্গে গলায় আলাদা করে কিছু না পরলেও ভালো মানিয়ে যায়
সূত্রঃ পাক্ষিক অনন্যা