ফেসবুক আইডি  হ্যাকিং থেকে বাচঁতে এবং হ্যাকিং হলে কি করবেন ?

ফেসবুক আইডি হ্যাকিং থেকে বাচঁতে এবং হ্যাকিং হলে কি করবেন ?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বর্তমানে ফেসবুক সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়। তবে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়ে নানা হয়রানিতে পড়ার ঘটনাও বাড়ছে দিন দিন। তাই আপনাকে সর্তক থাকতে হবে যেন হ্যাকিংয়ের শিকার না হতে হয়, আর যদি হ্যাক হয়েই যায় তবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন, সেই সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন-

 

হ্যাকিং এড়ানোর জন্য যা করবেন-

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই হ্যাকিংয়ের শিকার যেন না হতে হয় তার জন্যে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

১. আপনার ই-মেইল একাউন্ট নিরাপদ রাখুন।

২. অন্য কারো সাথে আপনার ই-মেইল এবং ফেসবুকের পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না।

৩. অন্য কেউ যেন আপনার একাউন্টে ঢুকতে না পারে তার জন্য ফেসবুকের Two step verification পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন।

৪. ই-মেইল একাউন্ট এবং ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড যেন একরকম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। অর্থ্যাৎ ই-মেইল এবং ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ভিন্ন রাখুন।

৫. অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট অ্যাকসেপ্ট করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।

৬. নিশ্চিত না হয়ে কোন গেম বা অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করবেন না। এছাড়া অন্যদের পাঠানো কোন লিঙ্কে ক্লিক করার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন।

৭. সাইবার ক্যাফে বা অন্যের কম্পিউটারে ফেসবুক ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। আর যদি বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে হয় তাহলে ব্যবহারের সময় ভুলেও রিমেম্বার পাসওয়ার্ড দিবেন না এবং ব্যবহারের পর লগ আউটের বিষয়ে খেয়াল রাখুন, তারপর লগ ইন হিস্টোরি ডিলিট করুন।

৮. মেইলে আসা সফটওয়্যার সেটআপ বা আপডেট নোটিফিকশনের ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন। এ রকম ফাইল দিয়ে তথ্য চুরি হয় বেশী।

৯. ফেসবুক একাউন্টে বিকল্প ই-মেইল আইডি যুক্ত করুন। যদি আপনার আইডি কোন ভাবে হ্যাক হয়ে যায় তাহলে ফেসবুক আপনার দ্বিতীয় ই-মেইলে আপনার একাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য তথ্য পাঠাবে।

১০. একান্ত ব্যক্তিগত ছবি অথবা তথ্য যেমন ফোন নম্বর, ঠিকানা ফেসবুকের মাধ্যমে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

 

 

হ্যাকিংয়ের শিকার হলে করণীয়-

ফেসবুকে ব্যক্তিগত অনেক বিষয় শেয়ার থাকে তাই সহজেই হ্যাকাররা আপনাকে বিপদে ফেলে দিতে পারে তাছাড়া আপনার একাউন্ট ব্যবহার করে কেউ অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালাতে পারে যার জন্য আপনি ঝামেলায় পড়তে পারেন ।হ্যাকিং এর শিকার হলে তাই দেরী না করে আইনের সহযোগিতা নিন।

 

প্রথমেই আপনার এলাকা যেই থানার আওতাধীন সেখানে গিয়ে জিডি করুন। জিডি করতে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্ত আপনাকে সাহায্য করবেন। জিডি করার পর আপনাকে থানা থেকে জিডির যে কপি দেয়া হবে সেটি যত্নের সাথে সংরক্ষন করুন।

জিডি করার পর সাইবার নিরাপত্তা হটলাইনে যোগাযোগ করুন। সাইবার নিরাপত্তা হটলাইন নম্বর হলো-০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮, ই-মেইল info@cybernirapotta.net, এখানে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে যোগাযোগ করতে পারেন। এটি শুক্রবার বন্ধ থাকে। আপনার সমস্যা বলার পর আপনাকে তারা ইমেইলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজ পাঠাতে বলবেঃ

যেমন-

১. ফেসবুক আইডির লিংক(হ্যাক হওয়া)

২. জিডির স্ক্যান কপি

৩. ভোটার আইডি কার্ডের কপি।

ইমেইলের পাঠানোর পর তিন দিনের মধ্যে তারা আপনার একাউন্ট উদ্ধার করে আপনাকে জানাবে।

 

 

ছবিঃ সংগৃহীত