যে হেয়ার টিপসগুলো আপনি ফলো করতে পারেন
চুলকে স্বাস্থ্যবান ঝলমলে রাখা, ম্যানেজ করে রাখাটাও কম ঝক্কির নয়। কিছু হিয়ার টিপস ফলো করলে এই কাজটি আপনি খুব সহজেই আয়ত্ত্বে রাখতে পারবেন।
১. টুথ ব্রাশের ব্যবহার-
সামনের দিকে কিছু ছোট চুল থাকে যেগুলো চিরুনীর সাহায্যে ম্যানেজ করা যায় না। এই কাজে আপনি টুথব্রাশের সাহায্য নিতে পারেন।টুথব্রাশের উপরে কিছুটা হেয়ার স্প্রে, স্প্রে করে নিন, তারপর টুথব্রাশটি দিয়ে ছোট চুলগুলোকে আচড়ে নিন, চুল গোছানো থাকবে।
২. ঘুমানোর আগে ড্রাই শ্যাম্পু-
গোসল করবেন ভেবেছিলেন কিন্তু রাত হয়ে গেছে, এখন আর ইচ্ছে করছে না। আবার শ্যাম্পু না করলে চুল গুলোও ধোয়ার জরুরী ছিল। সিম্পল ট্রিক হলো- ঘুমানো আগে কিছুটা ড্রাই শ্যাম্পু চুলে লাগিয়ে নিন। এটি সকাল বেলায় আপনার চুলকে ক্লিন আর ফ্রেশ করে তুলবে।
৩. কার্লি ভাব দীর্ঘস্থায়ী রাখুন-
যদি কার্ল করার পর, চুলের কার্লি ভাব লুজ হওয়া শুরু করে। তাহলে চুলের মিডল থেকে কার্ল করুন, আগা থেকে নয়। এতে আপনার চুলের কার্লি ভাব দীর্ঘ সময় লাস্টিং করবে।
৪. কুল সেটিংস ব্যবহার-
ব্লো ড্রায়ার অনেকেই ব্যবহার করেন চুলকে স্মুথ দেখাতে। কিন্তু হেয়ার ড্রায়ারের কুল সেটিংসটার চাইতে আমরা হট অপশনটাকেই বেশী প্রাধান্য দেই।তাই এক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, কুল সেটিংসের মাধ্যমে আপনি ব্লো ড্রাই করলে, আপনার হেয়ার স্টাইল দীর্ঘসময় লাস্টিং করবে। আর যদি আপনার চুল ফ্রিজি হয়ে থাকে, তাহলে তো আপনার জন্য এই অপশন মাষ্ট।
৫. চুলের সঠিক ব্রাশ ব্যবহার করুন-
আমাদের কাছে অনেক ধরনের হেয়ার ব্রাশ থাকে, কিন্তু সেগুলোর ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে বেশীর ভাগ মানুষই সচেতন নন।ছোট গোল ব্রাশ কোকড়া চুলে বাড়তি ভলিউম তৈরি করে।বড় গোল ব্রাশ সোজা চুলের জন্য ভালো। প্যাডেল ব্রাশ চুল স্মুথ করে এবং বাড়তি শাইনিং যোগ করে।
৬. স্ট্রেইটনার দিয়ে কার্ল-
আপনার কাছে যদি কার্লিং মেশিন না থাকে তাহলে স্ট্রেইটনার দিয়েই ট্রাই করতে পারেন। আপনার চুল গুলোকে ৬ ভাগে ভাগ করে নিয়ে ৬টি বেনী তৈরি করে নিন। এবার এই বেনীর উপর দিয়ে ফ্ল্যাট আয়রন ব্যবহার করুন। চুলের বেনী খোলার আগে আবার কিছুটা সময় আয়রন করে নিন।
৭. ববি পিন ট্রিক-
ববি পিন দিয়ে চুল আটকে নিলেও, দেখা যায় সঠিক স্থানে এটি থাকে না, পিছলে যায়। তাই ববি পিন লাগানোর আগে এতে কিছুটা হেয়ার স্প্রে লাগিয়ে নিন, তারপর চুলের লাগান, দেখবেন এরপর আর ববি পিন পিছলে যাবে না।
ছবিঃ সংগৃহীত