দেয়ালের সৌন্দর্য বাড়াতে তাক
শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতেই কাজে লাগে না, ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও দেয়ালের ছোট তাকের জুড়ি নেই।
ঘরে তাকের ব্যবহার শুধু দরকার নয়, রুচির পরিচয়ও বহন করে। বাজারে কাঠ, বেত, মেটালসহ বিভিন্ন ধরনের তাক পাওয়া যায়। তবে তাক কেনার সময় ঘরের আসবাবপত্র এবং দেয়ালের রঙের কথা বিবেচনা করেই কেনা উচিত। তাক কাঠের হবে না রডের, নির্ভর করবে আপনার ঘরের আসবাবের ওপর। দরকারে মিস্ত্রি দিয়ে নিজের পছন্দমতোও বানিয়ে নিতে পারেন তাক।
তাকটি এমন জায়গায় বসান যেন আসবাবের আড়ালে না পড়ে যায়, অন্যথায় এর সৌন্দর্য ফুটে উঠবে না। বড় তাকের চেয়ে ছোট আকারের কয়েকটি তাক দেয়ালে লাগালে দেখতে ভালো লাগবে। তাকের নকশার ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা বৈচিত্র্য।
ঘরে আসা-যাওয়ার সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় ঘরের চাবি। বেখেয়ালে ঘরের চাবি কোনো জায়গায় রেখে ভুলে যাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তাই দরজার কাছাকাছি জুতার সেলফের ওপরেই বসাতে পারেন ছোট তাক, সেখানেই হতে পারে ঘরের চাবির ঠিকানা। হারানোর বিড়ম্বনাও কমবে অনেকটা। পাশাপাশি রাখতে পারেন ছোট কোনো গাছের টব, পরিবারের ছবি ইত্যাদি।
রান্নাঘরে কফির মগ কিংবা মসলার ছোট ছোট বৈয়াম ক্যাবিনেটের ভেতরে না রেখে বাইরে তাকের মধ্যে সাজিয়ে রাখতে পারেন। দেখতে যেমন সুন্দর লাগবে, প্রয়োজনের সময় হাতের কাছেও পাবেন। পরিবারে ছোট্ট সোনামণি থাকলে টুকিটাকি জিনিসের পরিমাণ একটু বেশিই থাকে। এ ক্ষেত্রে দেয়াল তাক দারুণ কাজে লাগতে পারে। সোনামণির খেলনা, বইপত্র ইত্যাদি ব্যবহারের পর তুলে রাখতে পারেন তাকে। ছোটদের রুমে বসানো তাকগুলোতে ব্যবহার করুন উজ্জ্বল সব রং, যা রুমের আবহকে আরো চাঙা করে তুলবে।
শোবার ঘরে বিছানার দুই পাশে বেডসাইড টেবিলের ওপরে বসাতে পারেন ছোট তাক। ঘুমানোর সময় পড়া বইটি পরের দিন সকালে গুছিয়ে রেখে দিন তাকে।
তাকের যত্ন-আত্তি-
♦ খোলা তাকে জিনিসপত্র রাখলে ধুলাবালি পড়বেই, তাই নিয়মিত ধুলা মোছা একান্ত প্রয়োজন। তবে ভেজা কাপড় দিয়ে মোছা যাবে না।
♦ তাক যদি কাঠ কিংবা রটের হয় তাহলে পানি লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
♦ কাঠের তাকে প্রতিবছর বার্নিশ করলে তাক ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।
♦ তাক রটের হলে তাতে রং করুন, মরিচা পড়বে না।
♦ নানা ধরনের নানা ডিজাইনের তাক বাজারে পাওয়া যায়, তবে চাইলে নিজের পছন্দমতো বানিয়েও নিতে পারেন।
সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ