পিরিয়ডের সময় হাইজিনের জন্য যে বিষয়গুলো মনে রাখবেন !

পিরিয়ডের সময় হাইজিনের জন্য যে বিষয়গুলো মনে রাখবেন !

মেনস্ট্রুয়াল সময়ে খুব বেশী নিজের যত্ন এবং মেনস্ট্রুয়াল পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। অনেক মেয়েরা এই সময়ে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা এবং যত্নের বিষয়টা অবহেলা করে বলে অস্বস্তিবোধ এবং ব্যথার সমস্যা বেড়ে যায়।

 

তাহলে কোন বিষয়গুলো পিরিয়ডকালীন সময় মেয়েদের মনে রাখতে হবে?

 

স্যানিটারী ন্যাপকিন অথবা টেম্পুন অথবা মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করুন-

এই সময়ে কাপড় ব্যবহার করার একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়, কাপড়ে থাকা জীবানুর কারনে ইনফেকশনের সমস্যা হতে পারে। স্যানিটারী ন্যাপকিন অথবা টেম্পুন অথবা মেনস্ট্রুয়াল কাপ এর মধ্যে থেকে যেটি ব্যবহার আপনার কাজে সহজ লাগে তাই ব্যবহার করুন।

 

ন্যাপকিন/ টেম্পুন নিয়মিত পরিবর্তন করুন-

নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা এই সময়ের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। ৪-৫ ঘন্টা পর পর ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন। কারন দীর্ঘ সময় ধরে একই ন্যাপকিন বা টেম্পুন ব্যবহার করে থাকলে চুলকানী , ইনফেকশ হওয়ার ভয় থাকে।

 

ভালো ভাবে পরিস্কার করা জরুরী-

এই সময়ে পারলে দিনে দুবার গোসল করুন। ভ্যাজাইনাল এরিয়া ঠিকমতো ধুয়ে পরিস্কার রাখুন। এক্ষেত্রে বেশী পানি দিয়ে  ভ্যাজাইনাল এরিয়া ভালো ভাবে ধুয়ে নিন যেন সব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে যেতে পারে।

 

সোপ বা ওয়াশ নয়-

এ সময় ভ্যাজাইনার মুখ খুব বেশী খোলা থাকে তাই ইনফেকশনের ভয় বেড়ে যায়। অনেকেই বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করে পরিস্কার করতে চান যা এসময় করাটা ঠিক নয়। এতে ইনফেকশনের ভয় বেড়ে যায়।

 

পরিস্কার কাপড় এবং অর্ন্তবাস ব্যবহার করুন-

আপনার আন্ডার গার্মেন্টস নিয়মিত পরিস্কার রাখুন। ফ্রেশ থাকতে  এবং অস্বস্তি এড়াতে দিনে দুবার আন্ডার গার্মেন্টস পরিবর্তন করুন।

 

স্যানিটারী ন্যাপকিন ঠিকমতো ডিসপোজ করুন-

স্যানিটারী ন্যাপকিন টয়লেটে ফ্লাশ করবেন না, এতে স্যুয়ারেজ লাইন অথবা ড্রেনেজ আটকে যেতে পারে। কোন কাগজ বা পলিথিন দিয়ে মুড়ে নিয়ে আলাদা ভাবে রাখুন, ময়লার সাথে দেওয়ার সময় যেন উন্মুক্ত হয়ে না যায়। উন্মুক্ত অবস্থায় ময়লাতে ফেললেও ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অবশ্যই প্রতিবার ন্যাপকিন পরিবর্তন করার পর ভালোভালে হাত ধুয়ে নিবেন।

 

সুষম খাবার খান-

পিরিয়ডের সময় রক্তক্ষরনের কারনে শরীর দূর্বল হয়ে যায়। তাই এই সময় শারীরিক দূর্বলতা এড়াতে পুষ্টিকর খাবার খান। দৈনিক ডিম এবং দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ৩-৪ লিটার পানি পান করুন শরীর আর্দ্র থাকবে।

 

 

 

 

ছবিঃ সংগৃহীত