প্রতিদিন আপনি ওটস খেতে শুরু করলে কি ঘটবে ?
সকালের নাস্তা সারাদিনের খাবারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। তবে অনেকেই ডায়েটের হিসেব করে সকালে কিছু খেতে চান না, এটা একেবারেই অনুচিত। যদি আপনি স্বাস্থ্যসচেতন হোন, তাহলে পেট খালি না রেখে সকালে ওটস খেতে পারেন। ওটস কে বিস্বাদ মনে হলে সাথে বাদাম, ফ্রেশ ফ্রুটস, টকদই মিশিয়ে খেতে পারেন।
ওটস খাওয়ার অনেক বেনিফিট আছে। যদি আপনিও সেটা জানেন, তাহলে নিয়মিত খাওয়ার আগ্রহ বোধ করবেন।
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক, প্রতিদিন ওটস খেলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন ?
১. ভালো ত্বক পাবেন-
ওটসে থাকা উপাদান ত্বকের একজিমা এবং ইরিটেশন রোধে বেশ কার্যকর, তাছাড়া ওটসে থাকা জিঙ্ক ত্বকের টক্সিন এবং ক্ষতিকর পর্দাথ দূর করে। ত্বকের রোমকূপগুলোকে ছোট করে, যা ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত করে। এর মধ্যে থাকা আয়রন শরীরে পুষ্টি যোগায় এবং ত্বকের কোষে ময়েশ্চার যোগান দেয়। এর মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ত্বকে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায় এবং ত্বকের সেল রিনিউ করে।
২. শরীরে প্রোটিনের যোগান-
৮ টেবিল চামচ ওটমিল আপনার শরীরে দৈনন্দিন চাহিদার ১৫% প্রোটিন যোগান দেয়। এছাড়া এর মধ্যে থাকা ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং গ্লুটামিন শরীরের মাসলে ফাইবার উৎপন্ন করে।
৩. হাই লেভেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-
ওটস অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায় এবং ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রন করে। এতে আছে বেটা গ্লুটেন যা ব্লাডের সুগার কমায়।
৪. প্রচুর এনার্জী পাবেন-
অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ঠিকমতো খাবার খান না, ফলে শরীরে এনার্জী কমে যায়। ওটমিলে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরের প্রচুর এনার্জী যোগায়। ওটস খাওয়ার ফলে আপনার পেট ভরা থাকবে আবার অন্যান্য খাবারের প্রতি আগ্রহ কমবে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
৫. ওজন কমায়-
প্রতিদিন ওটস খেলে শরীরের হজমশক্তি বাড়ে এবং ওজন কমায়। সকালে ওটমিল খেলে, দীর্ঘসময় অন্যান্য খাওয়া খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়।ফলে আপনার কম খেলেও চলে ।
৬. কোলেষ্টরেল কমায়-
ওটসে আছে বেটা গ্লুকেন ফাইবার যা শরীরের কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে আছে লিনোলিক এসিড এবং সোলুবল ফাইবার যা শরীরের খারাপ কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে। শরীরের আর্টারি ওয়াল থেকে ফ্যাট ক্লিন করে এবং স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায়।
৭. হার্ট ডিজেজের ঝুকিঁ কমায়-
ওটসে আছে ভালো ফ্যাট যা হার্ট সেল এবং সার্কুলেটরী সিস্টেম কে সাপোর্ট করে। এছাড়া ওটমিলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলস কমিয়ে ব্লাড ভেসেলের ওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৮. পরিপাকক্রিয়া বাড়ায়-
বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে বলেন, যেন পরিপাকক্রিয়া সহজ থাকে। অল্প পরিমান ওটসেও প্রতিদিনে প্রয়োজনীয় ফাইবারে ১/৫ অংশ ফাইবার পাওয়া যায়। সেজন্যই প্রতিদিনের খাবার রুটিনে ওটমিল পারফেক্ট খাবার।
ছবিঃ সংগৃহীত