গুছিয়ে রাখুন আপনার আলমারী

গুছিয়ে রাখুন আপনার আলমারী

আপনার পোশাকগুলো গুছিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ওয়ারড্রোব, আলমারি, সেলফ প্রভৃতি। 

 

প্রথমেই ক্যাটাগরি ভাগ করে নিতে হবে। আপনি যেসব পোশাক বেশি বেশি পরেন সে পোশাকগুলো অবশ্যই আলাদা আলাদা রাখতে হবে। তাই প্রয়োজনী জামাকাপড় ওয়ারড্রোব বা আলমারির সামনের দিকের র‌্যাকে রাখুন যাতে সহজে খুঁজে পান। আগামীকাল কোন পোশাকটি পরবেন তা অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠিক করে রাখুন। এতে বেরোনোর সময় তাড়াহুড়া করে সেই পোশাকটি খুঁজতে হবে না।

 

ভিন্ন ঋতুর পোশাকগুলো স্টোর বা কোনো বক্সে গুছিয়ে রাখুন। বর্ষাকালের বর্ষাতি, শীতের জ্যাকেট, পুলওভার এগুলো থাকবে একসঙ্গে ব্যাগে। বাক্স বা ব্যাগগুলোর গায়ে কী ধরনের কাপড় আছে তা লিখে রাখুন। অপ্রয়োজনীয় পোশাকগুলো এভাবে সরিয়ে দেওয়ার পর দরকারি পোশাকগুলো সহজে গুছিয়ে নিতে পারবেন। যাদের টুকটাক নতুন জামাকাপড় কেনার অভ্যেস আছে, তারা পুরনো, রং ওঠা বা ছেঁড়া জামাকাপড় আলমারিতে জমিয়ে রাখবেন না। এতে নতুন জামাকাপড় রাখার আর জায়গা পাবেন না। তাছাড়া যেসব জামাকাপড় সাধারণত কম পরা হয় সেগুলো আলাদা একটা সেলফে রাখুন। পুরনো পরিষ্কার বালিশের ওয়াড়েও ঢুকিয়ে রাখতে পারেন। তবে প্লাস্টিকের ব্যাগে না রাখাই ভালো।

 

সবচেয়ে বড় কথা হলো ওয়ারড্রোব হোক বা আলমারি; মাঝে-মধ্যে তা গুছিয়ে রাখা জরুরি। তাই সপ্তাহে অন্তত আধা ঘণ্টা সময় নিন আলমারি বা ওয়ারড্র্রোব গোছানোর জন্য। নতুন পর্দা, বেডকভার এমনকি জামাকাপড়ের পুরনো কাপড়ের সেলফে না রেখে আলাদা সেলফে রাখুন। রোজকার ব্যবহার্য এক্সেসরিজ হাতের কাছে থাকলে ভালো হয়। এমন এক্সেসরিজগুলো আলাদা আলাদা ড্রয়ারে রাখুন। একটি ড্রয়ারে ঘড়ি, সেফটি পিন, ব্রোঞ্জ রাখতে পারেন। ব্যাগ বা পার্স আলাদা ড্রয়ার বা সেলফে রাখুন। একটি ড্রয়ার রাখুন লজারির জন্য। আর একটি ড্রয়ার রাখুন মোজা, রুমাল ইত্যাদি রাখার জন্য।

 

একসঙ্গে বেশি জামাকাপড় ঠেসে রাখলে, তা অগোছালো হতে বাধ্য। তাই শাড়ি-ব্লাউজ-পেটিকোট বা সালোয়ার কামিজ ভাঁজ করে না রেখে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শক্ত প্লাস্টিক বা কাঠের হ্যাঙ্গার ব্যবহার করুন। ভারী সিল্ক বা সিক্যুইন, জারির কাজ করা শাড়ি নরম সুতির কাপড়ে বা মলমলের কাপড়ে র‌্যাপ করে রাখুন। একইভাবে ওড়না এক জায়গায় রাখতে পারেন। একইভাবে ছেলেদের ফরমাল শার্ট-ট্রাউজারের সেট একসঙ্গে রাখতে পারেন। স্যুট, জ্যাকেট, কোট এক জায়গায় হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন। ফরমাল শার্ট এক জায়গায় রাখতে পারেন। ফরমাল বা জিন্স প্যান্ট একসঙ্গে না রেখে ভাগ করে রাখুন। একসঙ্গে রাখতে চাইলে রং অনুসারে রাখুন। সুতি জামাকাপড় ধুয়ে মাড় দেওয়ার পর আয়রন করে সেলফে গুছিয়ে রাখুন। নির্দিষ্ট পোশাকগুলো সাজিয়ে রাখুন রং এবং ডিজাইন অনুযায়ী। জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখার সময় কতগুলো নিয়ম মেনে চলুন। ভারী পোশাক তলার দিকে রাখুন। তার ওপর হালকা পোশাক রাখুন। এক ধরনের জামা একসঙ্গে রাখুন।

 

বেল্ট, টাই বা স্কার্ফ ঝুলিয়ে রাখার জন্য এক্সেসরিজ বার লাগিয়ে নিন। সাজগোজের জন্য মানানসই, এক্সেসরিজ গুছিয়ে রাখুন। ড্রয়ার ডিভাইডারের মধ্যে রাখুন মেকআপ কিট। নতুন জুতার মধ্যে সিলিকন ব্যাগ ভরে রাখুন। ওয়ারড্রোবে কয়েক টুকরো চক রেখে দিন। এতে ময়েশ্চার জমবে না। জামাকাপড় দীর্ঘদিন ব্যবহার না হলে ভ্যাপসা গন্ধ হতে পারে। তাই মাঝে মধ্যে এগুলি বের করে খোলা জায়গায় মেলে রাখুন।

 

 

 

সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন

ছবিঃ সংগৃহীত