ফ্যান্সি ট্রিটমেন্ট ছাড়াই পেতে পারেন নিখুঁত ত্বক ৫ উপায়ে
দাগহীন, নিখুঁত গ্লোয়িং ত্বক সবারই চাওয়া থাকে, সে পুরুষ হোক অথবা নারী। মুখে গর্ত, ব্রনের দাগ, কারোরই ভালো লাগে না। ত্বকের ভিন্নতা, বয়স এবং পরিবেশ ভেদে মানুষের ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হয়। যেমন, শুস্ক ত্বকের যারা তাদের ত্বকে বেশী বেশী ময়েশ্চারাইজার লাগানো থেকে শুরু করে ত্বকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতার যোগান দিতে হয়, আবার তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে মুখের বাড়তি তেল নিঃসরন হওয়াকেই নিয়ন্ত্রন করতে হয়। তবে ত্বকের কিছু যত্নের বিষয় আছে যেটা আপনার ত্বকের ধরন যেমনই হোক না কেন এই য্ত্নটুকু সব ত্বকের ক্ষেত্রেই সমান ভাবে প্রযোজ্য।নিয়মিত এগুলো অনুসরণ করলে কোন ব্যয়বহুল ফ্যান্সি ট্রিটমেন্ট ছাড়াই আপনি পেতে পারেন গ্লোয়িং ত্বক।
১. প্রচুর পানি করুন-
আমাদের শরীরের ৭৫ ভাগই পানি।এটি ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখে, প্রতিদিন নূন্যতম ৩লিটার পানি পান পূর্নবয়স্ক মানুষের জন্য জরুরী। পানি শরীরে প্রযোজনীয় আর্দ্রতা যোগানোর পাশাপাশি শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতেও সাহায্য করে। যদি শুধু পানি পান করতে আপনার বিরক্ত লাগে তাহলে লেবু, ফলের জ্যুস অথবা কিছুটা ফ্লেভার মিশিয়েও পান করতে পারেন কিন্তু পানি পান করতে হবে এটাই হলো আসল কথা।
২. ত্বকে এক্সফ্লোয়েশন-
ত্বকে ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং আমরা জানি এবং নিয়মিত অনুসরন করার চেষ্টা করি কিন্তু ত্বকের স্ক্র্যাবিং এর কথা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ভুলে যাই। অথচ স্ক্র্যাবিংও কম জরুরী নয়, কারন এটির মাধ্যমে ত্বকের অপ্রয়োজনীয় মৃত কোষের যে স্তর জমে সেটা ঝড়ানো যায় ত্বক প্রান ফিরে পায়। তাছাড়া মৃত কোষের স্তর থাকলে ক্লিনজিং,টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজার ঠিকমতো ত্বকের গভীরে প্যেছাতে পারে না। বাজারে অনেক ধরনের স্ক্র্যাবিং পাওয়া যায়, তবে সেগুলো যদি আপনার খুব রাফ মনে হয় তাহলে ঘরোয়া উপায়েও তৈরি করে নিতে পারেন।
সেক্ষেত্রে ময়দা, মসুর ডাল গুড়া এবং কমলার খোসার সাথে টকদই মিশিয়ে নিন। ভেজা মুখে ২-৩ মিনিট ম্যাসেজ করে লাগিয়ে ৫মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৩. ব্যায়াম-
নিয়মিত ব্যায়াম শুধু শরীর ফিট রাখতেই জরুরী নয় বরং নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার ত্বকও ভালো থাকে এবং সুন্দর হয়। সাইক্লিং, দৌড়ানো, হাটা, শরীরের ব্লাড ফ্লো বাড়ায় এর ফলে ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমান অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে, এটি ত্বকের স্ট্রেস কমায়, ত্বকের সজীবতা বাড়ায়।
৪. প্রচুর ভিটামিন সি খান-
নিস্প্রান, শুস্ক এবং এজিং ত্বকের জন্য ভিটামিন সি রক্ষাকবচ হতে পারে। ভিটামিন সি ত্বকের অ্যাজিং সাইন কমায়। নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, ত্বক সুন্দর হয়।
৫. কিছুটা ফ্যাট ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয়-
ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখার জন্যে এবং ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্যে কিছুটা ফ্যাটেরও প্রয়োজন আছে। ত্বকের প্রয়োজনীয় ফ্যাট যোগানোর জন্য অ্যাভাকাডো খেতে পারেন। আর যদি শুধু অ্যাভাকাডো খেতে ভালো না লাগে তাহলে পেষ্ট তৈরি করে এর সাথে মধু মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান ১০-১৫ মিনিট।
ছবিঃ সংগৃহীত