চুল পড়ছে ?
অতিরিক্ত রাত জাগা, ধূমপান, হতাশাসহ নানা কারণেই ছেলেদের মাথার চুল পড়তে পারে। টাটকা শাকসবজি, ফলমূল পরিমাণমতো না খেলে চুল পড়তে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রম না করলে শরীরের রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে না। এ থেকেও চুল পড়ে। সৌন্দর্যচর্চার নানা কৃত্রিম পদ্ধতি বেশি ব্যবহারের ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বারবার রিবন্ডিং, রং করা চুলের ক্ষতির কারণ। পরিবেশদূষণ, পানিদূষণ, বায়ুদূষণ ইত্যাদি পরোক্ষভাবে দায়ী চুল পড়ার জন্য। অনেক তরুণ নিয়মিত বাইক চালান। দীর্ঘ সময় মাথায় হেলমেট পরে থাকতে হয় বলে গরমে ঘেমে চুলের গোড়া দূর্বল হয়ে পড়ে। শীতের সময় অনেকে গরম পানিতে গোসল করতে পছন্দ করেন। কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও চুল পড়ে যেতে পারে।
প্রতিকার-
অনেকে ভাবেন শুধু এন্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে—এটা ভুল ধারণা। আসলে এন্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পুর সঙ্গে যোগটা খুশকির। খুশকি দূর করার জন্য এন্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু খুশকি দূর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের শ্যাম্পুর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে, কোন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন? সয়া প্রোটিন, আমন্ড অয়েল—এই উপাদানগুলো চুলের জন্য দারুণ কাজে দেয়। ফলে যে শ্যাম্পুতে এই উপাদানগুলো আছে সে ধরনের শ্যাম্পু নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি কিংবা চুলকানির মতো সমস্যা থাকলেও চুল পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ গ্রাম পরিমাণ নিমপাতা বেটে মাথার ত্বকে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। পরে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পাবেন।
চুল পড়া রোধে অনেকে পেঁয়াজের রস লাগানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটা জটিলতা আছে। কারণ পেঁয়াজের রস নিয়মিত ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে স্থায়ী ইনফেকশন তৈরি হতে পারে। অনেকের ধারণা, নারিকেল তেলে চুল পড়া রোধ হয়। নারিকেল তেল সরাসরি চুল পড়া রোধে কাজ করে না। এই তেল মাথায় ম্যাসাজ করলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। চুল মসৃণ দেখায়। মাথার ত্বকে যদি কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে ভালো মানের নারিকেল তেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে সেই তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। মিনিট দশেক পর গোসল করুন। ধীরে ধীরে চুল পড়া কমবে।
নিজের ব্যবহূত চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার আলাদা রাখলে ভালো হয়। নিজের ব্যবহূত সামগ্রী এন্টিসেপটিক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করে রোদে শুকান।
দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শাকসবজি, ফলমূল বেশি করে খান। দেখবেন, ধীরে ধীরে চুল পড়া কমে যাবে।
সূত্র-দৈনিক কালের কন্ঠ
ছবি-সংগৃহীত