ঠোঁট ফর্সা করুন ন্যাচারালি
সারা শরীরের ত্বকে যেমন মেলানিন রয়েছে ঠিক তেমনি ঠোঁটেও রয়েছে।ফর্সা ত্বকের মানুষদের প্রাকৃতিক ভাবেই মেলানিন কম থাকে।তাদের ঠোটঁও গোলাপী বা লাল রঙের হয়ে থাকে।আর যাদের ত্বক কালো, তাদের ঠোটও বেশী মেলানিন থাকার কারনে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে কালো হয়।
তবে অনেক ফর্সা বা শ্যাম বর্নের ত্বকের মানুষদের ঠোটঁও বিভিন্ন কারনে কালো হয়ে যায়। আপনার কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস অথবা অসচেতনতাও আপনার ঠোটকে কালো করে দেয়।
ঠোট কে কালো হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবেন কিভাবেঃ
১. ধুমপান কমান অথবা পরিত্যাগ করুন। কারন ধুমপান ঠোটঁ কালো করে দেয়।
২. অনেক বেশী চা-কফি পান করলেও ঠোঁট কালো হয়ে যায়।দিনে দু কাপের বেশী চা পান করবেন না।
৩. বাইরে যাওয়ার আগে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ঠোটঁ কে বাচাঁতে SPF সমৃদ্ধ লিপ বাম লাগান। এখন SPF সমৃদ্ধ লিপষ্টিকও পাওয়া যায়, তাই লিপ বাম বা লিপষ্টিক যাই ব্যবহার করুন না কেন তা যেন SPF সমৃদ্ধ হয়।
৪. ঠোটঁ কে নিয়মিত স্ক্র্যাব করুন, স্ক্র্যাব করলে ঠোটেঁর ডেড সেল দূর হয়ে যায়, ডেড সেলও ঠোটকে নিস্প্রভ ও কালো করে দেয়।
প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোটঁ গোলাপী করতে বাসার যে যে জিনিস গুলো ব্যবহার করতে পারেনঃ
১. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে বিটরুটের রস লাগিয়ে নিন, পরদিন সকালে উঠে দেখবেন আপনার ঠোটঁ হালকা গোলাপি মনে হচ্ছে। এমন গোলাপি আভা পরবর্তী কয়েক দিন থাকবে।
২. গোলাপের পাপড়ি পেষ্ট তৈরি করে নিন, এর সাথে ফ্রেস ক্রিম যোগ করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ঠোটঁ প্রাকৃতিক ভাবে সফট আর গোলাপী হবে। অথবা একটি কটন বল গোলাপ জলে ভিজিয়ে নিয়ে ঠোটেঁ লাগাতে পারেন।
৩. মেনথল বেস লিপ বাম ঠোটেঁ লাগিয়ে ৫ মিনিট রাখুন, তারপর নরম একটি ভেজা টুথ ব্রাশ দিয়ে ঠোটেঁ উপর হালকা ভাবে ব্রাশ ঘুরান আস্তে আস্তে মরা কোষ উঠে আসবে, তবে খুব জোরে ঘষবেন না কারন ঠোটঁ খুব সফট জায়গা।
৪. ঘুমানোর আগে একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে ঠোটেঁ লাগান।চাইলে ভিটামিন ই অয়েল আপনার ভেসলিন এর সাথে মিশিয়ে আপনার নিজস্ব লিপ বাম তৈরি করে নিতে পারেন।
৫. পুদিনা পাতা অথবা ধনে পাতার রস প্রতিদিন লাগান ঠোটঁ রোজি আর স্মুথ হবে।
৬. রাতে ঘুমানোর আগে লেবুর রস গ্লিসারিন এর সাথে মিশিয়ে ঠোটেঁ লাগিয়ে নিন, লেবুর রস ঠোটঁ ফর্সা করবে আর গ্লিসারিন ঠোটেঁ ময়েশ্চারাইজার যোগায়। যারা ঠোটেঁর শুস্কতা দূর করতে চান তাদের জন্য এই প্যাকটি কার্যকরী।
৭. যদি আপনার ঠোটঁ ফ্যাকাশে মনে হয়, তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে দেখুন আপনার আয়রনের ঘাটতি আছে কিনা, অ্যানিমিয়ার কারনেও ঠোটঁ ফ্যাকাশে হয়ে যায়, চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ খেলে আপনার ঠোটেঁর স্বাভাবিক রঙ ফিরে আসবে।
৮. নারিকেল কুড়িয়ে নিন, হাত দিয়ে চিপে কিছুটা রস বের করে নিয়ে ঠোটেঁ লাগান।
৯. শসা এবং গাজর খাবেন নিয়মিত, ঠোটেঁর রঙ গোলাপী হবে।
১০. ঠান্ডা দুধের সরের সাথে এক চিমটি হলুদের গুড়া মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন ঠোটেঁ এই পেষ্ট লাগিয়ে ৫মিনিট ম্যাসেজ করুন।
১১. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লেবুর রসের সাথে অল্প মধু মিশিয়ে ঠোটেঁ লাগান।লেবুর রস ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করবে আর মধু ময়েশ্চারাইজার যোগাবে এবং প্রাকৃতিক ভাবেই ঠোঁট গোলাপী হবে।
১২. এক টেবিল চামচ আমন্ড অয়েলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন ঠোটে লাগিয়ে, শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
১৩. দেশী ঘি ঠোটেঁ লাগিয়ে নিন, ঠোট সুন্দর হবে।
১৪. কয়েকটি আমন্ড বাদাম দুধে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন, সকালে পেষ্ট তৈরি করে নিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে লাগান।
ছবিঃ সংগৃহীত