হেয়ার কালারিং যে মিসটেকগুলো এড়িয়ে চলবেন

বর্তমান সময়ে হেয়ার কালার করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একটা সময় ছিল যখন মানুষ শুধু সাদা চুলকে আড়ার করার জন্যই চুলে কলপ ব্যবহার করতো।কিন্তু এখন তা নয়।টিনএজার থেকে শুরু করে বেশীর ভাগ মেয়েরাই এখন হেয়ার কালারিংয়ে ঝুকছে।বিভিন্ন কালার দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছে, নিজের লুক বদলে নিচ্ছে।তবে কালার করার সময় কিছু বিষয়ে সচেতন না থাকলে চুলের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, আর চুলই যদি না থাকে তাহলে কালার করারও আর কিছু খুজে পাওয়া যাবে না।তাছাড়া সব কালার সবাইকে মানায় না। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে জেনে নিন হেয়ার কালারিংয়ের সময় কোন মিসটেকগুলো আপনি এড়িয়ে চলবেন।

 

১. হেয়ার কালারের জন্য ভুল শেড বেছে নেয়া-

বেশীর ভাগ সময়েই বক্সের ছবি দেখে সবাই হেয়ার কালার কিনে ফেলেন।এটা ঠিক নয়।কারন বক্সে প্রিন্ট করা কালার আকর্ষন করার উদ্দেশ্যেই দেখানো হয়। দেখা যায় বক্সের দেয়া ছবির সাথে ভেতরের কালারের পার্থক্য থাকে। তাই অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নিন। আর কালার বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার স্কিন টোনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন কালার বেছে নিন।

 

২. স্ক্যাল্পে কালার লাগানো-

আপনার সাদা চুল আড়াল করতে চাইলে গোড়া পর্যন্ত কালার করার চেষ্টা করবেন, তবে সেটা যেন আপনার স্ক্যাল্পে না লাগে।সবসময় স্কাল্প থেকে ১ ইঞ্চি দূরত্ব পর্যন্ত কালার করুন।কারন কালার হাই ডোজ কেমিক্যাল, সেটা স্ক্যাল্পে লাগলে আপনার স্ক্যাল্পের ক্ষতি করবে।

 

৩. দীর্ঘসময় হেয়ার কালার লাগিয়ে রাখা-

হেয়ার কালার বক্সে কিছু নির্দেশনা লেখা থাকে, যা আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।বাসায় হেয়ার কালারের সময় ২৫-৩০ মিনিট পর্যন্তই বেশীর ভাগ বক্সের নির্দেশনা থাকে।অনেকে বেশী সময় রাখতে চান কালার ভালোমতো হওয়ার আশায়, কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে বেশী সময় কালার রাখলে সেটা আপনার চুলের ক্ষতি করবে।এর ফলে আপনার চুলের দীর্ঘস্থায়ী ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।তাই ঠিকমতো নির্দেশনা অনুসরন করুন এবং কালার এপ্লাই করার পর ঘড়ি দেখে সময় অনুযায়ী ধুয়ে ফেলুন।

 

৪. কালার চুলের জন্য সঠিক হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা-

কালার করা চুলের জন্য বিশেষজ্ঞরা কালার প্রটেক্ট শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে বলেন।কালার প্রটেক্ট শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার চুলে বাড়তি শাইন যোগ করে এবং চুলকে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে। এবং দীর্ঘসময় কালার চুলে টিকিয়ে রাখে।

 

৫. অনেক বেশী হেয়ার স্টা্ইলিং করা-

কালার চুলে এমনিতেই কেমিক্যালের কারনে চুল ড্যামেজ হয়। তাই ব্লো ড্রায়ার এবং হট স্ট্রেইটনার আয়রনের সাহায্যে হেয়ার স্টাইলিং যতটা সম্ভব কম করুন। কারন এতে আপনার চুল পুরোপুরি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।তাই খুব বেশী প্রয়োজনে হেয়ার স্টাইলিং করুন, এবং যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

 

৬. উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে না মিশানো-

হেয়ার কালারে দুইটা বেসিক উপাদান থাকে, ডেভেলপার এবং কালারেন্ট। বেশীরভাগ প্যাকেটেই এগুলো কোন অনুপাতে মিশাতে হবে তার নির্দেশনা দেয়া থাকে। সেই অনুপাতে আপনাকে মিশাতে হবে।অনেকেই আছেন কালার বেশী ভালো পাওয়ার আশায় উপাদানের অনুপাতে কমবেশী করেন যেটা ঠিক নয়। এছাড়া পুরো চুলে না লাগিয়ে কিছু নির্দিষ্ট স্থানে অল্প কালার লাগানোর চেষ্টাও ঠিক নয়।

 

 

 

 

 

ছবিঃ সংগৃহীত