সারাদিন হাসিখুশি থাকুন
হাসিখুশি মুখ মন ভালো করে দেয়। গম্ভীর আড্ডার পরিবেশও বদলে দেয় উচ্ছ্বসিত হাসি। যিনি যতটা হাসিখুশি থাকবেন, দিন শেষে তিনি ততটাই সুখী। দীর্ঘদিন সুস্থ ও সুখী মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চাইলে হাসিখুশি থাকার বিকল্প নেই। কীভাবে হাসিখুশি থাকবেন তা তুলে ধরা হলো।
► দিনের মধ্যে আঠারো ঘণ্টাই যদি চিন্তা-ভাবনা নিয়ে বসে থাকেন, তবে মনে ‘আনন্দ’ আসবে কী করে? তাই অপ্রয়োজনীয় ভাবনা এড়িয়ে চলুন। শুধুমাত্র সেসব চিন্তাই করবেন, যা আপনার জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।
► অনেকেই আছেন, নিজের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। সারাক্ষণ নিজের কাজ নিয়ে হিনমন্যতায় ভোগেন। হাসিখুশি থাকতে নিজের কাজকে শ্রদ্ধা করুন। নিজের কাজকে ভালোবাসুন। মনে মনে ভাবুন, আপনার কাজটি সেরা।
► ঘুম হলো মানুষের আদি ও আসল বিনোদন। আপনার যদি পরিপূর্ণ ঘুম না হয়, তাহলে আপনি কখনই আনন্দে থাকতে পারবেন না। তাই যত কাজের মধ্যেই থাকুন না কেন, সময় বের করে পরিপূর্ণ ঘুমান।
► অন্যের দোষ খুঁজলে মন খুলে হাসা বা হাসিখুশি থাকার সময় পাবেন না। তাই ওই ধরনের চিন্তা যখনই আসবে, জোর করে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করুন। এবং নেতিবাচক চিন্তাগুলো বাদ দিন। অন্যের ভালো করার চেষ্টা করুন।
► গান শোনা, আঁকা, নাচ বা গল্পের বই পড়া- যে কাজটি করতে ভালো লাগে তা করুন। যে কাজ করতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বা আনন্দ পান এমন কাজগুলো বেশি করুন। নিজের মধ্যে সুখ খুঁজে বের করুন।
► শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে আনন্দে। তাই নিজেকে হাসিখুশি রাখতে সর্বদা নিজেকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন। তবেই পাবেন সুখ পাখির দেখা।
সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন
ছবিঃ সংগৃহীত