মাখন দিয়ে চুলের যত্ন
বাটার, সুন্দর চুলের দাওয়া। চুলের গোড়া থেকে প্রান্ত অব্দি এর কার্যকারিতা। স্ক্যাল্পের গ্রন্থিকোষ মেরামত ও চুলের শুষ্কতা দূর করে তোলে, চুল করে ঝলমলে। বাটার ত্বকের নানা সমস্যার দাওয়া। পাশাপাশি চুলচর্চায় বাটারের উপকারিতা অরেকেরই অজানা। চুলের বাড়ন্ত নিশ্চিত করে চুলকে করে ময়েশ্চাররাইজড।
সিল্কি ও কোমল চুল পেতে বিভিন্ন ধরনের বাটারের ব্যবহার হয়ে থাকে। মাথার ত্বকে সৃষ্ট রুক্ষতা ও চামড়া ওঠার সমাধান করে বাটার। সোজা বা কার্লি যা-ই হোক, চুল ময়শ্চার এবং গোছা সুন্দর করে।
কীভাবে উপকার করে বাটার-
ভিটামিন এ এবং ই-এর পাশাপাশি এসেনশিয়াল অ্যাসিড সমৃদ্ধ বাটার মাথার ত্বক কোমল ও সুস্থ রাখে। চুলে শুষ্কতা দূর করে এবং চুলের আগা ফাটা রোধ করতে এটি দারুণ কার্যকরী। এ ছাড়া এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। পাশাপাশি চুলকে মসৃণ করে এবং জট কমাতে সাহায্য করে। বাটারের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য এ সমস্যা সারিয়ে তোলে লোমকূপ বন্ধ করে।
তবে সরাসরি বাটার ব্যবহার ছাড়াও বাটার সমৃদ্ধ পণ্যও সুন্দর চুল পেতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কন্ডিশনার। কন্ডিশনার চুলের ফাইবার মজবুত করে, কিউটিকল মসৃণ করে তোলে ও জটহীন করে। বাটার সমৃদ্ধ হলে কন্ডিশনারের কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়।
এ ছাড়া বাটার ব্যবহারে চুল সূর্য্যের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় এবং সব ধরনের দূষণের বিরুদ্ধে এটি চুলের ওপর একটি সুরক্ষা প্রলেপ তৈরি করে। ভিটামিন ও খনিজে পূর্ণ শিয়া বাটার সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন-
চুল কন্ডিশন করতে দুই টেবিল চামচ বাটার গলিয়ে নিয়ে তাতে আধা কাপ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হতে সময় দিন। খেয়াল রাখুন যাতে মিশ্রণটি জমে না যায়। এবার ই-ক্যাপসুল মিশিয়ে নিন। ঘন হয়ে এলে ব্যবহার করুন। মিশ্রণটি এয়ার টাইট বোতলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। উপরন্তু বাটার কেয়ার সপ্তাহে দুই-তিন দিন ব্যবহারেই খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া হাফ কাপ বাটার, চার ভাগের এক কাপ অলিভ অয়েল হালকা আঁচে গলিয়ে নিন। তবে এটি কোনোভাবেই ফুটিয়ে নেওয়া যাবে না। গলে গেলে একটি বাটিতে নিয়ে সামান্য জমে যেতে দিন। এরপর এতে অলিভ অয়েল দিয়ে ফেটাতে থাকুন, যতক্ষণ না এতে স্ট্রং ক্রিমি ভাব আসে। শুকনো বা ভেজা চুলে এটি লাগিয়ে নিতে পারেন।
সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন
ছবিঃ সংগৃহীত