ব্ল্যাক হেডস কমাতে প্যাক
ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা কমবেশি প্রায় সবারই। সাধারণত মুখ ও নাকের ত্বকের লোমকূপে কালো হয়ে জমে থাকে ব্ল্যাকহেডস। অনেকের কানে, পিঠে, ঘাড়েও ব্ল্যাকহেডস দেখা দিতে পারে। ব্ল্যাকহেডস স্থায়ীভাবে দূর করা কঠিন। পরিষ্কার করার পরও এটা ফিরে আসতে পারে। তাই প্রতিদিন পরিচর্যা করতে হবে ত্বকের।
শরীরে হরমোন পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণেও ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা হতে পারে। প্রসাধনী ব্যবহার করলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার ক্লিনিকের রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমি বিভিন্ন ধরনের ত্বক অনুযায়ী, ব্ল্যাকহেডস দূর করার সহজ কিছু পরামর্শ দিলেন।
তৈলাক্ত ত্বক-
তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাকহেডস হওয়ার প্রবণতা বেশি হলেও পরিষ্কার করা সহজ। প্রথমে তুলা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে ব্ল্যাকহেডসে আক্রান্ত স্থান মুছে নিতে হবে। এরপর ১ চা-চামচ গোলাপজল, ১ চা-চামচ জলপাই তেল ও ১ চা-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। ১ চা-চামচ পুদিনাপাতাবাটা, ১ চা-চামচ চালের গুঁড়া, ১ চা-চামচ তুলসীপাতাবাটা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতেই ব্ল্যাকহেডস কেটে যাবে।
শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বক-
শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের ক্ষেত্রে প্রথমে কাঠবাদাম ও দুধের পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে নাকের অংশটুকু নরম করে নিতে হবে। ৫-৭ মিনিট পর ম্যাসাজ করে গরম পানিতে তুলা ভিজিয়ে মুছে নিয়ে প্যাক লাগাতে হবে। ডিমের কুসুম, আধা চা-চামচ গ্লিসারিন আর ১ চা-চামচ ভাজা গমের গুঁড়ামিশ্রিত প্যাক কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
মিশ্র ত্বক-
অ্যালোভেরা ও তোকমা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে ৫-৭ মিনিট নাকে বা আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ১ চা-চামচ গ্রিন টি, আধা চা-চামচ বাদামবাটা, ১ চা-চামচ বেসন পেস্ট করে লাগাতে হবে। সপ্তাহে একদিন এইভাবে যত্ন নিলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
ব্ল্যাকহেডস ফিরে আসা রোধ করতে প্রতিদিন অন্তত দুবার মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এতে ত্বকের ময়লা দূর হয়। যে তেল পরিষ্কার লোমকূপের মুখ বন্ধ করে রাখে, তা সরে যায়। সপ্তাহে একবার ভালো করে স্ক্র্যাবার দিয়ে মুখ স্ক্র্যাব করতে হবে। তাহলে ব্ল্যাকহেডসও বিদায় জানাবে আপনাকে।
সূত্র ও ছবিঃ দৈনিক প্রথম আলো