ছিমছাম কাটের শার্ট !
ফরমাল বা ক্যাজুয়াল যাই হোক; পোশাক হওয়া চাই ট্রেন্ডি এবং রঙিন। যদিও অনেকে ফরমাল শার্ট সবসময় পরতে চান না। কাজের জায়গায় যেহেতু পরতে হচ্ছে নিয়মিত, তাই অন্য সময় ক্যাজুয়াল শার্ট-ই থাকে লিস্টে। এসব রঙিন ক্যাজুয়াল শার্ট বর্তমানে কেবল ছেলেদের ফ্যাশনেই নয়, মেয়েদের ফ্যাশন দুনিয়াতেও ভীষণভাবে ইন। কেবল রঙ ও ট্রেন্ড ধরে স্টাইল মিলিয়ে নিলেই হলো...
এই গরম, এই ঠাণ্ডা। আবার ঝড়া শ্রাবণের সময়ে তারুণ্য পোশাক নিয়ে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। অনেকে আছেন সবসময় ফরমাল শার্ট পরতে চান না। কাজের জায়গাটুকু বাদে তারা বেশিরভাগ সময়ই ভিন্ন কিছু পরতে আগ্রহী। পার্টি বা আড্ডায় নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চান সবাই। কিন্তু একই সঙ্গে আরাম এবং ফ্যাশন খুঁজে পাওয়া খুব একটা সহজ নয়। সেক্ষেত্রে তারুণ্যের পছন্দ শার্ট। সব ঋতুতেই ফ্যাশনের একটি বড় অংশ দখল করে আছে শার্ট।
দেশের কিছু ব্র্যান্ড ছিমছাম কাটের শার্ট তৈরি করেছে। যা অনায়াসেই মানিয়ে যাবে সব ধরনের আয়োজনেই। ফেব্রিকে ব্যবহার করা হয়েছে রেনন, লিনেন, সুতি, ফুল কটন, মিক্স কটন, ফ্ল্যাক্স মিক্সড, খাদি, তাঁত, টেরিভয়েল, সিভিস প্রভৃতি; যা গরমে শার্ট তৈরির উপকরণ। এ ধরনের ফেব্রিক ঘাম কম তৈরি করে শরীরে, আবার ঘাম শুষে নেওয়ার গুণও রয়েছে এই কাপড়ের। তাই তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে থাকলেও আরাম পাওয়া যায় এ ধরনের ফেব্রিকের ব্যবহারে। এ ধরনের শার্ট তৈরি করে না কোনো অস্বস্তি। কলার, হাতা, বোতাম, প্লিট ও রঙের ক্ষেত্রেও এসেছে ভিন্নতা। ন্যারো কলার, ব্যান্ড কলার তো আছেই, গেঞ্জি কলারও যুক্ত হয়েছে শার্টে। সাদাসিধে কলারে সুই-সুতার কাজও চলছে বেশ। হাতায় যুক্ত হয়েছে ফোল্ডিং। কিছু হাতায় দেখা যাচ্ছে লুপ। শার্টের কলার ও হাতার ভিতরের অংশে ভিন্ন রঙের ব্যবহারও চলছে বেশ কয়েক বছর।
বোতামেও এসেছে পরিবর্তন। রঙিন বোতাম চলছে, আবার স্ন্যাপ বোতামেরও চল বাড়ছে। বোতাম প্লেটে নকশা করে কিংবা আলাদা রঙিন কাপড় জুড়ে দেওয়ার চল রয়েছে এখন। ঢিলেঢালা শার্ট নয় বরং এ সময় তারুণ্য এখন ফিটিং বা স্লিম ফিটিং শার্টের দিকে ঝুঁকছে বেশি। গরমে হালকা রঙের শার্ট দিতে পারে স্বস্তি। যেসব রঙ আলোর প্রতিফলন করে, সেসব রঙ বেছে নিতে পারেন এ সময়। তাহলে গরম কিছুটা হলেও কম লাগবে। গাঢ় রঙ এ সময় দিনের বেলার জন্য তেমনভাবে মানানসই নয়। বরং গাঢ় রঙ সূর্যের আলো শুষে নিয়ে তৈরি করবে অস্বস্তি। বাসায় পরার জন্য বেছে নিতে পারেন খাদি বা তাঁতের তৈরি শার্ট। রঙ ও নকশার দিক থেকে দেশীয় কাপড়ের শার্টগুলো বেশ সৃজনশীল। শার্টের ব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে নতুন সব উপকরণ ও রঙ। বর্তমানে হালকা রঙ ছাড়াও চলে মেরুন, হলুদ, সবুজ, সাদা, উজ্জ্বল রঙ গুর্লি। দিনে হালকা রঙের শার্ট ব্যবহার করুন। তাতে স্বস্তি পাবেন বেশ, আর রাতে গাঢ় যে কোনো রঙ, যা আপনাকে মানিয়ে যায় তা পরতে পারেন। শার্টের সঙ্গে প্যান্ট বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন কাটিংয়ের দিকে। একদম ন্যারো কাট নয়। চাপা কাটের প্যান্ট ব্যবহার করলে মানিয়ে যাবে ফ্যাশনেবল এসব শার্টের সঙ্গে।
ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও ফ্যাশনে শার্ট বেছে নিচ্ছে। যদিও গত এক দশক ধরেই মেয়েদের ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে এসব শার্ট। কাজের জায়গায় মেয়েরা এখন সালোয়ার-কামিজের পাশাপাশি বেছে নিচ্ছে শার্ট। তাই আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ডিজাইনাররা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে মেয়েদের শার্টের নকশায় এনেছেন বেশ পরিবর্তন। কাটছাঁট এবং স্টাইলে রেখেছেন ভিন্নতা। সিনথেটিক কাপড়ের পরিবর্তে নরম সুতি কাপড় ব্যবহার করছেন শার্টে। খাদি এবং লিনেনও বাদ পড়ছে না সেই তালিকা থেকে। প্রিন্টের ক্ষেত্রে বড় বড় চেক মেয়েদের বেশ পছন্দের। একইভাবে স্ট্রাইপ বা ছোট চেকেও পিছপা নন নারীরা। এছাড়া একরঙা ও স্কিনপ্রিন্টের শার্ট তো আছেই! ফ্যাশন সচেতন তরুণীরা জিন্স, স্কার্ট, জেঙ্গিস-এর সঙ্গে পরিধান করছেন এসব শার্ট।
সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন